ভারতের সঙ্গে আগের সব রুট চালু হোক: হাসিনা

১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সড়ক পথে যাতায়াতের যেসব পথ ছিল, তা পুনরায় চালু করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে বিশ্বব্যাপী আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এই বিষয়টিতে জোর দেন।

বাংলাদেশ লাগোয়া মেঘালয়ের ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্কুল অফ বিজনেসের ডিন অলকা শর্মার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মঙ্গলবার গণভবনে যায়।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে যেসব সড়ক রুট বন্ধ হয়ে আছে, ‍তা পুনরায় আমরা চালু করতে চাই।”

দুইশ বছর ব্রিটিশ শাসনে থাকার পর ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দেশ হলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের অনেক রুটে সরাসরি বাস ও ট্রেন যোগাযোগ ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এসব রুট বন্ধ হয়ে যায়।

শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সরকার গঠনের পর ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঢাকা-কলকাতা ট্রেনও চালু হয়।

এরপর এই বছরের মাঝামাঝিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি ও কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস উদ্বোধন হয়।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে সরাসরি চলাচলও আলোর মুখ দেখছে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দেন। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের কথাও বলেন।

মেঘালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিনিধি দলও দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিশেষ করে শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে দুই দেশ একত্রে কাজ করতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই