‘ভারতের ভিসা পাওয়া আরও সহজ হবে’

ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া আগের তুলনায় সহজ হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশটি ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করবে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার করে ভিসা দেয় তারা। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়াবে তারা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ৬৯ তম পাসপোর্ট অফিস উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এই অফিসে শুধুমাত্র সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার পাসপোর্ট করার সুযোগ পাবে।

গত মাস থেকেই ভারতীয় দূতাবাস দুর্ভোগের ই টোকেন পদ্ধতি তুলে দিয়েছে। সরাসরি কাগজপত্র জমা দেয়া যায় বলে ভোগান্তি কমার পাশাপাশি ই টোকেন নিতে দালালরা যে টাকা নিত, সেটিও এখন আর লাগছে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় আমাদের দেশের জনসাধারণ উপকৃত হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা যেমন সহজে নিতে পারছে তেমনি পর্টকরাও সেই সুযোগ নিচ্ছে।’

পাসপোর্ট করতে দালাল নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা নেয়ার আহ্বানও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা নিলে আর হয়রানি থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের স্বল্পতা রয়েছে। আমরা এই স্বল্পতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। পাসপোর্ট অফিস বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

সচিবালয়ে পাসপোর্ট অফিস উদ্বোধন করে চারটি পাসপোর্ট চারজনের কাছে হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ পাসপোর্ট অফিসের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসগুলো দালালমুক্ত করা হয়েছে। এরপরও তাদের উপদ্রব আছে কি না তা আপনারা ভালো জানেন। তবে হয়রানির অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমনকি পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে হেল্প ডেস্ক করেছি। কেউ পাসপোর্ট পেতে জটিলতায় পরলে সেখান থেকে সুরাহা পাবেন।’

কামাল বলেন, ‘পাসপোর্ট পাওয়া প্রতিটি মানুষের অধিকার। এই অধিকার জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাসপোর্ট অফিস করছি। এটি বাংলাদেশের ৬৯তম পাসপোর্ট অফিস।



মন্তব্য চালু নেই