ভারতের বিহারে বোর্ড পরীক্ষায় নকলের মহোৎসব

বিহারের হাজিপুর এবং নবাদায় বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় নকলের মহোৎসব পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা নকল সরবরাহের সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছিলেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর নজিরবিহীন দৃশ্যের অবতারণা হয়।

যা দেখা গেল: গণমাধ্যমগুলোর ক্যামেরা ধরা পড়ে, অসংখ্য অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের বন্ধুবান্ধব দেয়াল বেয়ে জানালার শিক ধরে ওপরে উঠে গিয়ে সুবিধাজনক স্থান থেকে নকল সরবরাহ করতে থাকে। পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় নকল। ক্যামেরা হলের ভেতর পৌঁছে গেলে পরীক্ষার্থীরা দ্রুত নকল লুকিয়ে ফেলতে চেষ্টা করে। কর্তব্যরত শিক্ষক এসে পরীক্ষার্থীদের মারধোর করতে শুরু করেন।

পুলিশের অবস্থান:
দেখা যায় কর্তব্যরত পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করলেও নকল সরবরাহকারীদের সংখ্যা এবং দাপটের কাছে তারা ছিলেন অনেকটাই অসহায়। তবে পরীক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৫০০ শিক্ষার্থীকে নকল থেকে বিরত রাখা হয়েছে। অবশিষ্ট সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীর বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। পুলিশের উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে পুলিশদের একাংশ অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, বিনিময়ে নকলের মহোৎসব চালানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন।

মন্ত্রী যা বললেন: বিহার প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী পিকে সাহী সব দোষ সরকারের কাঁধে নিতে নারাজ। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, কিভাবে শুধুমাত্র সরকারের প্রচেষ্টায় নকলমুক্ত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হতে পারে, যদি সমাজ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আমাদের সহায়তা না করে?

bihar-exam-2

বিহারে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। গত বছরও ২০০ শিক্ষার্থীকে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এছাড়া নকলে সহায়তাকারী অভিভাবকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার এখনও তেমন কোনো ‍উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই