ভারতের পর পাকিস্তানকে হারাবে বাংলাদেশ : ভারতীয় মিডিয়া

ভারতের পর পাকিস্তানকে হারাবে বাংলাদেশ। ভারতীয় মিডিয়াও কি তাহলে এমন খবর প্রকাশ করতে পারে? চোখ কপালে উঠতে পারে অনেকের। হ্যাঁ, এমন খবরই প্রকাশ করেছে তারা। তবে খরবটা কোনো ভালো উদ্দেশ্যে কি না? সেটাই খতিয়ে দেখার বিষয়। ভালো উদ্দেশ্য তো দূরের কথা, খোঁচা দিল একদম সূক্ষ্মভাবে। মেলবোর্নে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচটিকে নাকি সাকিবরা জিততে চান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে! কেননা কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে সেমিতে গেলে বাংলাদেশ পাচ্ছে পাকিস্তানকে (যদি তারা কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে)। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ মার্চ। যেদিন কি না বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই চেতনা বাস্তবায়ন করতে গেলে কোয়ার্টারে ভারতকে হারাতে হবে মাশরাফিদের। ভারতীয় মিডিয়ার ভয়টা সেখানেই।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ২৫ মার্চ এ দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলা করে বসে। ওই রাতেই কেড়ে নেয় হাজার হাজার বাংলাদেশিদের প্রাণ। ভারত ছিল আমাদের মিত্র রাষ্ট্র। তাই বলে একটি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে এভাবে খোঁচাতে পারে না ভারতীয় মিডিয়া। সাকিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এসব কী বলছে ওরা?

এবার শুনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বক্তব্য, ‘আমরা ভয়হীন ক্রিকেট খেলব। ভারত ভালো টিম তো বটেই। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে, এখানেও টিম ইন্ডিয়াকে হারানো সম্ভব। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর ২০১২ সালে শচীনের ১০০ সেঞ্চুরির ম্যাচে আমরা আবার হারিয়ে দিয়েছিলাম। এ সব ভুলে গেছে ভারত?’

আর সাকিবের এই ক্রিকেটীয় ভাষা শুনেই ভারতীয় মিডিয়ার মাথা নষ্ট। মনে বেজায় কষ্ট। প্রায় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে মেতে আছেন সাকিব-মুশফিকরা; এটাই তাদের অনুধাবন!

কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় ভারতীয় মিডিয়া লিখেছে, ২৬ মার্চ হল বাংলাদেশের বিজয় দিবস। এদিন তারা স্বাধীনতা পেয়েছিল। আর আইসিসি কাকতালীয়ভাবে সেদিনই রেখেছে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। তারা চাচ্ছে সেদিন পাকিস্তানকে হারাবে। ফের বিজয়ের আনন্দে ভাসবে বাংলাদেশ। ওই চেতনা বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ চাইছে ভারতকে হারাতে।



মন্তব্য চালু নেই