ভারতের এই রহস্যময় গ্রামে এখন মাটি খুঁড়লেই মিলছে সোনার মুদ্রা! যাবেন নাকি?

সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পরেও ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। মুহুর্মুহু খালি হয়ে যাচ্ছে এটিএম। কপাল যদি খুব ভাল থাকে, হাতে আসছে একটা গোলাপি নোট। তা দিয়ে আবার কেনাকাটা করা দায়। ধরুন, এ পরিস্থিতির মধ্যেই যদি খবর পান, এক জায়গায় মাটি খুঁড়লেই মিলছে সমুদ্রগুপ্তের আমলের স্বর্ণমুদ্রা, তখন? ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াবেন, না কি সেখানে দৌড়াবেন?

রাজস্থানের একটা বড় অংশের বাসিন্দারা কিন্তু দ্বিতীয়টাই বেছে নিয়েছেন। ব্যাঙ্কে লাইন দেওয়া দূরে থাক, নাওয়া-খাওয়া ভুলে তাঁরা এখন সোনার কয়েনের সন্ধানে হাজির হয়েছেন টঙ্ক জেলায়। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত অক্টোবর মাসে। চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের দু’টি সোনার কয়েন উদ্ধার হয় টঙ্ক জেলার একটি খনিতে। এরপর কোনওভাবে রটে যায়, মাটি খুঁড়লেই সেখানে পাওয়া যাবে অজস্র সোনার কয়েন। আর তারই লোভে দূর দূর থেকে পাড়ি জমাচ্ছে মানুষ। তাঁদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার জয়পুর শাখার দুই অফিসার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া কয়েন দু’টি সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত এবং কুমারগুপ্তের আমলের। পুলিশের মতে, ইতিমধ্যেই অন্তত ২০০০ হাজার কয়েন উদ্ধার হয়েছে এলাকা থেকে। তবে গ্রামবাসীদের বার বার বলা হচ্ছে সেগুলি ফেরত দেওয়ার জন্য। কারণ, এর সবটাই সরকারের সম্পত্তি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, কোনও এক সময়ে ওই খনিতে মুদ্রাগুলি কেউ লুকিয়ে রেখেছিল। তারপর এত বছর ওগুলো একইরকম রয়ে গিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই