ভারতীয় যুবকের প্রেম আটকে গেল কাঁটাতারে

ভালোবাসা মানে না জাত-পাত ও স্থান-কাল। এ কথাটি আবারও প্রমাণ করল ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের যুবক মানিন্দর সিং (২৩) এবং বাংলাদেশের ঢাকার মেয়ে ইভা আক্তার (১৮)।

প্রেমের টানে ভারতের পাঞ্জাব থেকে ঢাকায় চলে আসেন যুবক মানন্দির সিং। তার মনের মানুষকে নিয়ে ঘর বাঁধবে এমন স্বপ্নে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত এলাকা দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জওয়ানদের হাতে। আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে যুবকটিকে ফেরত পাঠানো হল ভারতে।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ) ও পুলিশ বাহিনীর কাছে মানিন্দর সিং-কে তুলে দেওয়া হয়। অপরদিকে ইভাকে তুলে দেয়া হল তার মা মুন্নি ইসলামের কাছে।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুদিয়ানা সিটিখান্নার যুবক মানিন্দ সিং। তার সাথে বাংলাদেশের ঢাকা আশুলিয়ার এক কলেজ পড়–য়া যুবতী ইভা আক্তারের ফেসবুকে পরিচয়, অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ১১ডিসেম্বর প্রেমের টানে বিমান যোগে ইভার কাছে ঢাকায় চলে আসে ভারতীয় পাসপোর্টধারী যুবক মানিন্দর সিং। ওঠেন ঢাকার আবাসিক হোটেল ভিক্টোরিয়ায়। সেখানে দু’জনের দেখা হয়। তারা বিয়ে করে সুখে সংসার শুরু করবেন সিদ্ধান্ত নিয়ে ১২ ডিসেম্বর পালিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তে চলে আসেন। কিন্তু মানিন্দর সিং-এর পাসপোর্ট ভিসা থাকলেও প্রেমিকা ইভা আক্তারের কোনো বৈধ কাগজপত্র (পাসপোর্ট বা ভিসা) ছিল না। পরে দালালের সহযোগিতায় আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পেরে কসবা উপজেলার চন্ডিদ্বার সীমান্ত পথে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রমের সময় বাধসাধে বেরসিক বিজিবি সদস্যের টহলদল। বিজিবি দু’জনকে আটক করে শনিবার সন্ধ্যায় কসবা থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ইভা আক্তারের মা মুন্নি ইসলাম খবর পেয়ে ইভাকে নিয়ে যায়। ভারতীয় যুবক মানিন্দর সিং একজন শিল্পী। সে পাঞ্জাবের সিটিখান্না লুদিয়ানার নরেন্দ্র সিং-এর ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কসবা সদর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. আমিনূর রহমান এবং কসবা থানার এসআই মো. আশ্রাফ উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের যুবক মানিন্দর সিং বৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে। তার পাসপোর্ট ও ভিসা থাকায় তার নিরাপত্তার বিবেচনায় আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে রাজ্যের আরতলার স্থলবন্দর বিএসএফ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই