ভারতীয় বোলারদের প্রশংসায় দ্রাবিড়

ভারতের সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ের বিশ্বাস, ভারতের পেস বোলারদের সাফল্য ধোনিদের বিশ্বকাপ অভিযানে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ভারতের শেষ ম্যাচকে সামনে রেখে ক্রিকইনফো’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

দ্রাবিড় বলেছেন, প্রতিপক্ষ দলগুলোর বিশ্বাস ছিল, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারতের বোলাররা সুবিধা করতে পারবে না। তবে তাদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করল ধোনির বোলাররা।

দ্রাবিড় বলেন, ‘প্রতিপক্ষ দলগুলো সব সময় ভারতের ব্যাটিং নিয়ে ভাবতো। কেননা, তাদের বিশ্বমানের কয়েকজন ব্যাটসম্যান রয়েছে যা তাদেরকে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপে পরিণত করেছে। অন্য দলগুলোর ধারণা ছিল বিশ্বকাপে ভারতের বোলাররা জ্বলে উঠতে পারবে না যা তাদের শিরোপা অভিযানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে বোলাররা যখন ভালো করতে শুরু করল তখন দলে নতুন মাত্রা যোগ হলো। ফলে ধোনিরা প্রতিপক্ষ দলকে কম রানে বেঁধে ফেলতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ধোনিদের যেই ব্যাটিং লাইন রয়েছে তাতে করে বড় স্কোর তাড়া করে জেতার সামর্থও তাদের রয়েছে। আর ভারত যদি ৩০০ বা তার বেশি রান করে ফেলে তবে প্রতিপক্ষ দলের জন্য সেটা তাড়া করে জেতাও কষ্টসাধ্য হবে।’

চলতি বিশ্বকাপে ভারতের তিন পেসার মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মা ইতোমধ্যেই ২৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই তিনজনের কেউই ওভার-প্রতি ৫ রানের বেশি দেননি। ফলে বিশ্বকাপের আগে বোলিং নিয়ে যেই দুশ্চিন্তা ছিলেএই পেসার-ত্রয়ী সেটি বিস্মরকরভাবে দূর করেছেন বলে মনে করেন ‘দ্য ওয়াল’।

রাহুল বলেন, ‘আমাদের দলের অন্যতম অভিজ্ঞ বোলার ইশান্ত শর্মা ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে পড়েছে। অন্যদিকে ভুবনেশ্বরও ফর্মে নেই। তবে এই পেসার-ত্রয়ী যেভাবে বল করছে সেটা এককথায় অসাধারণ। বিশেষ করে মোহিত শর্মার কথা বলতে হয়। সে ইনিংসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকে দারুণ বল করছে যেটি বিশ্বকাপের আগে ভারতের অন্যতম সমস্যা ছিল।’

চলতি বিশ্বকাপে ভারতের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে পেসাররা যেমন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ঠিক তেমনি অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ১৬.৬৩ গড়ে মাত্র ৩.৮৯ ইকোনমি রেটে ১১ উইকেট নিয়ে তিনিই ভারতের অন্যতম সেরা বোলার। রাহুল দ্রাবিড় প্রশংসা করেছেন এই অফ-স্পিনারেরও।

তিনি বলেন, ‘সে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করল তখন থেকেই দেখছি তার আত্মবিশ্বাস অনেক। তার বিশ্বাস, সে বোলিংয়ে এসে উইকেট নিতে পারবে এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। অধিনায়ক যখন ব্রেক-থ্রুর জন্য তার হাতে বল তুলে দেয় তখনও কিন্তু সে নিরাশ করে না। প্রতিপক্ষ দলকে কম রানে বেঁধে ফেলতে তার জুড়ি নেই।’



মন্তব্য চালু নেই