ভাবিকে ধর্ষণ করলো দেবর, স্বামী আর শ্বশুর-শাশুড়ি দাঁড়িয়ে দেখলো! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বিয়ের সময়ে পণ নেওয়ার রীতি যে এই একবিংশ শতকেও চালু রয়েছে, এবং পণের অনাদায়ে যথেচ্ছ বধূনির্যাতনও যে এদেশে হয়ে থাকে, তার অনেক প্রমাণ সংবাদপত্রের পাতায় চোখ রাখলেই মেলে। এবার সেই পণঘটিত বধূনির্যাতনেরই এক চূড়ান্ত লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল বিহারে, যেখানে এক বধূ ধর্ষিতা হলেন তাঁর

খুড়তুতো দেওরের হাতে, এবং তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুর-শাশুড়ি সেই সময়ে বসে রইলেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
ঘটনা নালন্দা ব্লকের অন্তর্গত সারে থানা এলাকার। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুবিচারের আশায়। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর প্রভাব ঘাটিয়ে আপোস রফার দিকে বিষয়টিকে ঠেলে দেয়।

শেষ পর্যন্ত গত ১৩ ডিসেম্বর মহিলা থানায় নিজের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে হয় ২ জুলাই ২০১৪ সালে। তারপর মাত্র ৬ দিন তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বাপের বাড়ি রেখে আসে। বলা হয়, ৫ লক্ষ টাকা দিলে তবেই তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বধূর বাবা অনেক কষ্টে দু’লক্ষ টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হলে, তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ মাস আগে বাকি তিন লক্ষ টাকার দাবি তুলে বধূর উপর অত্যাচার শুরু হয়। ইতিমধ্যে বধূ জানতে পারেন যে, তাঁর স্বামীর সঙ্গে স্বামীর বউদির একটি সম্পর্ক রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে যুবতীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হপ্তাখানেক আগে যুবতীর খুড়তুতো দেওর আসে, এবং তার সঙ্গে বধূর স্বামীর গোপন শলাপরামর্শ হয়। এর পরে স্বামী ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যান, আর ওই দেওর যুবতীকে ধর্ষণ করে। বধূ সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও তাঁর স্বামী বা শ্বশুর-শাশুড়ি কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতা দেওর রজনীশ কুমারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন, এবং স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধে মদতের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পণ সংক্রান্ত অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে রজনীশ সহ চার জনের বিরুদ্ধে।

মহিলা থানার অধ্যক্ষ মৃদুলা কুমার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, অপরাধীরা শাস্তি পাবে।



মন্তব্য চালু নেই