ভর্তি পরীক্ষা বর্জন করলো জবি শিক্ষক সমিতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা বর্জন করেছে জবি শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা, স্বতন্ত্র পে-স্কেল, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও উচ্চ শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী নুর বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমরা চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভর্তি পরীক্ষা বর্জন করেছি। পরীক্ষা স্থগিত করার দায়িত্ব আমাদের না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপার। আমরা আমাদের জরুরী সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করেনি। আগামীকাল ৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় জবি উপাচার্য একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা আহ্বান করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জবি উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করে নাই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাই আমার বক্তব্য।’

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় সব ভর্তি পরীক্ষা ও ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতিসহ আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।

এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বাইরে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিল।

এ ব্যাপারে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা বর্জন করিনি তবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেব না। আমরা ফেডারেশনের আওতাভুক্ত। তার মানে এই নয় যে, এর বাইরে আমরা কর্মসূচি দিতে পারবো না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর প্রতি শুক্রবার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসাবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।



মন্তব্য চালু নেই