বয়স বিভ্রান্তি, আনতে হবে সাক্ষীর স্কুল প্রত্যয়ন

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি মো. ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩ম সাক্ষি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার মো. আবদুল হামিদ মল্লিকের (৫৯) বয়স নিয়ে বিভ্রান্ত দেখা দেয় ট্রাইব্যুনালে। তাই জন্ম তারিখ সম্বলিত প্রত্যয়নপত্র ট্রাইব্যনুাল রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিতে পটুয়াখালীর সুবিদখালী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন।

এর আগে প্রসিকিউশন সাক্ষী মো. আবদুল হামিদ মল্লিককে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুছ ছালাম খান। জেরার মধ্যেই সাক্ষী আবদুল হামিদ মল্লিকের বয়স নিয়ে দেখা দেয় বিভ্রান্তি।

পরে এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘স্কুলে পড়াকালীন তাকে (মো. আবদুল হামিদ মল্লিক) যে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে সেখানে সাক্ষির জন্ম তারিখ ১৬.১২.১৯৫৮ উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এই প্রত্যয়ন পত্রটি ট্রাইব্যুনাল রেজিস্ট্রার বরাবর প্রদান করতে হবে।’

এসময় উক্ত প্রত্যয়নপত্রটি জমা দিতে পটুয়াখালীর সুবিদখালী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

একইসঙ্গে সাক্ষির জেরা শেষে মামলার পরবর্তী কার্য্যক্রম আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ নভেম্বর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর ২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

গত ৩ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মো. ফোরকান মল্লিককে করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের দায়ে ২০০৯ সালের ২১ জুলাই ফোরকানের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় আবদুল হামিদ নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। পরে গত ২৫ জুন মো. ফোরকান মোল্লিককে বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

ফোরকানের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন থেকে তদন্ত শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জণ রায়।



মন্তব্য চালু নেই