বয়ফ্রেন্ডও ভাগাভাগি করে দু’বোন!

তারা জোড়া বোন। তারা আবার একে অন্যের সবথেকে কাছের বান্ধবী। পোশাক, খাবার থেকে শুরু করে গোপন কথাটি তারা একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে। সে না হয় মানা গেল, তাই বলে বয়ফেন্ডেও ভাগাভাগি। হ্যা, ভিক্টোরিয়া এবং আমান্ডা দু’জনেই ভালবেসেছেন ইয়ান ডায়াজ নামে এক যুবককে। দু’বোনই ইয়ানের শয্যাসঙ্গী হয়েছেন। এবং তাতে তাদের মধ্যে কোন ক্ষোভ নেই, বরং দু’জনই খুব খুশী। আরও অদ্ভুত ব্যাপার, দু’জনই বলছেন, ”ইয়ানের (বয়ফ্রেন্ড) সঙ্গে বোনকে কী সুন্দর মানায়!” সূত্র: আবাং

আর এ নিয়ে ইয়ান নিজেকে সবথেকে ভাগ্যবান ব্যক্তি বলে মনে করছেন। কোন লুকোচুরি ছাড়াই জমজ বোনের ভালবাসা পাওয়া সত্যিই ক’জনের ভাগ্যে জোটে!

ইয়ান অবশ্য বলছেন, যমজ বোনকে একসঙ্গে সামলানো সহজ নয়। তাঁর কথায়, ”অনেকেই বলেন, আমি নাকি পৃথিবীর সবথেকে ভাগ্যবান পুরুষ। কিন্তু এ-ও ঠিক, দুই যমজ বোনকে সামলে রাখা মুখের কথা নয়। অনেক ঝামেলা রয়েছে।”

ভিক্টোরিয়া এবং আমান্ডা কিন্তু সমস্বরে বলছেন, ”কোথায় ঝামেলা! কীসের ঝামেলা?”

ভিক্টোরিয়ার সোজা কথা, ”আমরা তিনজন একসঙ্গেই থাকতে চাই। এতে সমস্যার কী আছে? ইয়ানকে নিয়ে আমাদের দু’বোনের কোনও সমস্যা নেই। কে ওর সঙ্গে রাত কাটাবে, সেটা নিজেরাই ঠিক করে নিই।”

বয়ফ্রেন্ড ভাগাভাগির নেপথ্যেও রয়েছে দুই বোনের আবেগঘন সম্পর্কের কাহিনি। ২০১২ সালে ভিক্টোরিয়ার ব্রেক-আপ হয়ে যায়। ততদিনে আমান্ডার সঙ্গে ডেটিং শুরু করেছেন ইয়ান। বোনকে ভেঙে পড়তে দেখে প্রথমে ইয়ানের কাছে বোনের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যান আমান্ডা।

ইয়ানের প্রতিক্রিয়া কী ছিল। আমান্ডা বলছেন, ”ভিক্টোরিয়াকে ওভাবে কাঁদতে দেখে আমার পক্ষে স্থির থাকা সম্ভব ছিল না। মনে হয়েছিল, ওর গভীর ভালবাসা প্রয়োজন। ইয়ান খুব সংবেদনশীল ছেলে। ওকে গিয়ে বললাম, ভিক্টোরিয়াকে আমার মতো করেই ভালবাসতে।”

তার পর? আমান্ডা বলে চলেন, ”ইয়ান প্রথমে অস্বস্তিতেই পড়েছিল। পরে ব্যাপারটা ধীরে ধীরে সামলে নেয়।”

আর ভিক্টোরিয়া মজা করে বলছেন, ”আমান্ডা আর ইয়ানকে দেখে খুব হিংসে হয়। একে তো ওদের সম্পর্ক কতটা মজবুত, তা আমার ব্যাপারটা থেকেই বোঝা যায়। তার উপর ইয়ান আমাকেও সমান ভালবাসে।”

আর বিয়ে? উত্তর দিলেন ভিক্টোরিয়া— ”ইয়ানকে বিয়ের কথা বলেছি। তাকিয়ে আছি সেই দিনটার দিকে যে দিন ইয়ান আমাকে বিয়ে করবে। তার পরে ইয়ান আমান্ডাকেও বিয়ে করুক। তিনজনেই সুখে থাকতে চাই। একসঙ্গে।”



মন্তব্য চালু নেই