ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৭ জন শনাক্ত

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ড. অভিজিৎ হত্যায় দুজন সরাসরি অংশ নেয় এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরো সাত জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তকৃতদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

এ সময় তিনি আরো জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বর্তমানের আনসার আল ইসলাম প্রাক্তন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম জড়িত। তদন্তের স্বার্থে শনাক্তকৃতদের নাম প্রকাশ করা হবে না।

হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, মামলার জব্দকৃত আলামতগুলো এফবিআই ল্যাবে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে হত্যাকাণ্ডের সময় আশপাশে যারা ছিলেন তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। দুটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই শনাক্ত করা সম্ভব হবে যে কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

তাছাড়াও ২০১৫ সালে ঢাবির টিএসসিতে বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তিনি আরো জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ইতোপূর্বে একজনকে আটক করা হয়েছিল। মামলার সময়সূচি সীমাবদ্ধতা থাকায় এবং অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে দেয়া হয়েছে। মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হলে আংশিক তদন্তের জন্য দায়িত্ব পায় পিআইবি (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাবির টিএসসি এলাকায় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ​রায় ও তার স্ত্রী নাফিজা আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। অভিজিৎ​ও তার স্ত্রী দুজনই আমেরিকাপ্রবাসী ছিলেন। তিনি মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। তার লেখা ৯টির বেশি বই রয়েছে। অভিজিৎ শিক্ষাবিদ অজয় রায়ের ছেলে।



মন্তব্য চালু নেই