ব্রিটেনে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু

ব্রিটেনে ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গত মধ্যরাতে ভেঙে দেয়া হয়েছে পার্লামেন্ট। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো কনজারভেটিভ-লিবারেল ডেমোক্র্যাট কোয়ালিশন সরকারের মেয়াদ ।

এদিকে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পরবর্তী নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের সঙ্গে বার্কিংহাম প্যালেসে দেখা করেছেন। আগামি ৭ মে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী হচ্ছেন কনসারভেটিভ পার্টির ডেভিড ক্যামেরন এবং প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড। ধারণা করা হচ্ছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারের নির্বাচনেই সবচাইতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করার পর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে ডেভিড ক্যামেরন ভোরদের দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য তাকে আবারও ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার নির্বাচনী প্রচারণায় দাবি করেছেন, তিনি দেশকে ঘুরে দাড়ানোর কাজ শুরু করেছিলেন এবং এটি অব্যাহত রয়েছে এমনটা দেখতে চান।

লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের সমালোচনা করে ক্যামেরন বলেন, তিনি ‘অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা’ ঝুঁকিতে ফেলেছেন।

এর আগে মিলিব্যান্ডও ক্যামেরন ও তার দলের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিষয়ে কনজারভেটিভ পার্টির যে নীতি তা ব্রিটেনের বাণিজ্যের জন্য পরিস্কার হুমকি।

বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, জনপ্রিয়তার দৌড়ে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টি খুব সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে বা পিছিয়ে আছে। এর ফলে অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, হয়তো কোন দলই এবার স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।

কনজারভেটিভ এবং লেবার পার্টি ছাড়াও আরো যে দলগুলো এ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে – তার মধ্যে আছে নিক ক্লেগের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি, নাতালি বেনেটের গ্রিন পার্টি, নাইজেল ফারাজের ইউকে ইনডিপেন্ডেন্স পার্টি, আর অ্যালেক্স স্যামন্ডের স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি।



মন্তব্য চালু নেই