ব্রহ্মপুত্র গিলে খাচ্ছে হাজারো ভিটেমাটি

কুড়িগ্রাম: বর্ষার শুরুতেই জেলার রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে।

প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ীসহ ফসলী জমি। হুমকীর মুখে পড়েছে মোহনগঞ্জ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ নানা স্থাপনা। এ অবস্থায় ভাঙনরোধে দ্রুত সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করছেন ইউনিয়ন বাসী।

গত ১ মাস ধরে রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ বাজার, নয়ারচর, নেওয়াজি, শংকরপুর, হাজিপাড়া, ফকিরপাড়া ও ব্যাপারীপাড়াসহ প্রায় ২৫টি গ্রামের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। গত ১৫ দিনে নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি ও শতশত একর ফসলী জমি। ভাঙন ঠেকাতে ইউনিয়নবাসী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করলেও তা নজরেই আসছে না কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করলেও মিলছে না কোন সহযোগীতা।

ভিটে-মাটিসহ ফসলী জমি হারানোর আশংকায় নির্ঘুম রাত কাটছে ভাঙনের হুমকীতে থাকা পরিবারগুলোর। ভাঙন ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনের কথা স্বীকার করে বরাদ্দ সাপেক্ষে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম।

এদিকে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের অসহায় মানুষেরা।



মন্তব্য চালু নেই