ব্যাটে রান না পাওয়ায় কোহলিকে নিয়ে যা বললেন জনসন

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে চার ইনিংসে রান না পাওয়ায় ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি হতাশায় ভুগছিলেন বলে মনে করেন সাবেক অসি স্পিডস্টার মিচেল জনসন। তিনি বলেন, প্রথম দুই টেস্টের চার ইনিংসে রান করতে না পারায় তাকে বেশ হতাশ মনে হয়েছে ব্যাঙ্গালুরুতে। এজন্য মাঠে অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলো কোহলি।

পুনেতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মানে ভারত। এরপর ব্যাঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম তিন দিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলেই রেখেছিলো অসিরা। বেশ কোনঠাসাই ছিলো ভারত। চতুর্থদিন মধ্যাহ্ন বিরতির আগে অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের জন্য ১৮৮ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। স্বল্প টার্গেট পাওয়ায় নিশ্চিত জয় দেখছিলো অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ২১৪ বলের ব্যবধানে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে দুর্দান্ত এক জয়ের নজির গড়ে ভারত। ৭৫ রানে টেস্ট জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। সেই সাথে সিরিজেও সমতা আনে কোহলির দল।

ব্যাঙ্গালুরু টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে অনেক বেশি উত্তেজিত দেখা গেছে ভারতের অধিনায়ক কোহলিকে। দলের সতীর্থদের উৎসাহি করার পাশাপাশি গ্যালারির দর্শকদেরও হাত দিয়ে বিভিন্নভাবে ইশারা করছিলেন তিনি। ইশারার অর্থ ছিলো, চিৎকার করে ভারতীয়দের উৎসাহ যোগানো।

কোহলির এমন আচরণ ভালো লাগেনি অস্ট্রেলিয়ার পেসার জনসনের, কোহলির দর্শকদের উত্তেজিত এবং খেলোয়াড়দেরকে চাঙ্গা করাটা সবার চোখে পড়েছে। তার এতোটা উত্তেজিত থাকার কারণ চার ইনিংসে রান না পাওয়ায় সে অনেক বেশি হতাশ ছিল। রান করতে না পারার ক্ষোভটাই মাঠে ঝেড়েছে কোহলি।

মাঠে কোহলির এমন আক্রমণাত্মক আচরণ ভালো লাগেনি জনসনের। আউটের পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের বিদায় দেখানোর দৃশ্যটা ভাল লাগেনি জানিয়ে জনসন আরো বলেন, প্রায় প্রত্যেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানকেই বিদায় করা দৃশ্য দেখিয়েছে কোহলি।

অসিদের উইকেট পড়লেই ক্যামেরা কোহলিকে তাক করে। তখনই দেখা যায় কোহলির বিদায়করণের দৃশ্য। এটি কোন ভালো দৃশ্য নয়। আমিও মাঠে খুব আগ্রাসী ছিলাম। কিন্তু ক্যামেরা নিয়ে সতর্ক থাকতাম।

কোহলির আক্রমণাত্মক মেজাজ নিয়ে সমালোচনা করার পর ভারত দলপতির প্রশংসা করতে ভুল করেননি জনসন, কোহলি এখন বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। তাকে যে কোনও দল পেতে চাইবে। কারণ কোহলির মতো নেতা থাকা মানে খেলোয়াড়দের সব সময় চাঙ্গা রাখা যাবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার প্রবল ক্ষমতা তার মধ্যে আছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই