ব্যবসায়ী হাসানের খোঁজে থানায় থানায় ওয়্যারলেস বার্তা

ব্যবসায়ী নেতা হাসান খালেদের খোঁজ মেলেনি একদিনেও। তাঁর সন্ধান লাভে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক দল। ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি দেশের সব থানায় এ ব্যাপারে ওয়্যারলেসবার্তা পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসান খালেদকে খুঁজে বের করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটগুলোও কাজ করছে।

শনিবার সকালে ওষুধ কেনার কথা বলে হাসান খালেদ তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেন নি। পরিবারের সদস্যরাও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।

এই ব্যবসায়ীকে কেউ অপহরণ করেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘এ পর্যন্ত মুক্তিপণ চেয়ে কেউ তাদের কাছে কোনো বার্তা পাঠাননি। ফলে আমাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।তাঁর কেনো শত্রু আছে বলে আমাদের জানা নেই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল বাশার বলেন, ‘গতকাল রবিবার বিকালেই ব্যবসায়ী নেতা হাসান খালেদকে খুঁজতে দেশের সকল থানায় ওয়্যারলেস বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর অবস্থান জানার জন্য সকল ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আপনাদের সাংবাদিকদের কাছে কোন তথ্য থাকলে তা দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ রইল।’

আজ সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ডাচ বাংলা চেম্বারের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. হাসান খালেদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। তার কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’

গত শনিবার সকালে ৫৫ বছর বয়সী হাসান খালেদ ধানমন্ডির ৪/এ নম্বর রোডের ৪৫ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় ফেরেননি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় ওই দিন রাতে তার শ্যালক শরিফুল আলম ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর তদন্ত করছেন ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার। নিউ ইস্কাটনের হাসান হোল্ডিং ভবনের অষ্টম তলায় তার অফিস রয়েছে। এছাড়া তিনি ক্রোকোডাইল নামের একটি পোশাকে বাংলাদেশী এজেন্ট। তার বসুন্ধরায় একটি দোকানও রয়েছে। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানির ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।



মন্তব্য চালু নেই