‘বোমা নয়, ক্যামেরনকে ফেলে দাও’

সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় অংশ না নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও স্পেনের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেসব দেশের জনগণ। তারা দেশ দুটির রাজধানী লন্ডন ও মাদ্রিদে সিরিয়ায় বিমান হামলার বিরোধিতা করে শনিবার বিক্ষোভও করেছে।

সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার কথা বলছে পশ্চিমা বিশ্ব। সে অনুযায়ী দেশটিতে বিমান হামলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য ও স্পেন সরকার। তবে দেশ দুটির জনগণ চায় না, তাদের দেশ সিরিয়ায় বিমান হামলায় অংশ নিক।

শনিবার লন্ডনে প্রায় ৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে সিরিয়ায় বিমান হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে আসেন, যেগুলোতে লেখা ছিল- ‘বোমা নয়, ক্যামেরনকে ফেলে দাও’, ‘সিরিয়ায় বোমা মের না’, ‘আগুনে ঘি ঢেল না’ ইত্যাদি।

স্টপ দি ওয়ার কোয়ালিশন-এর ব্যানারে প্রতিবাদকারীরা বলেন, ‘সিরিয়ায় যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ডেভিড ক্যামেরন (যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, তাতে আইএস এতটুকুও দুর্বল হবে না। তবে এই পদক্ষেপে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে, সিরীয় জনগণের দুর্দশা গভীর হবে এবং সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।’

সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া। তাদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যও যেন বিমান হামলায় অংশ নেয় সে লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পার্লামেন্টে তুলেছেন। এ সপ্তাহেই এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হতে পারে। প্যারিস হামলার পর ‍যুক্তরাজ্যের অনেক রাজনীতিকই এখন চান, তাদের দেশ সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় অংশ নিক।

স্পেনেও শনিবার প্রায় ৫ হাজার লোক দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে সিরিয়ায় বিমান হামলায় তাদের দেশের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। রেইনা সোফিয়া জাদুঘরের সামনে এ প্রতিবাদের সময় তারা ‘যুদ্ধে অংশগ্রহণ নয়’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।

আগামী ডিসেম্বরে স্পেনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় জানিয়েছেন, তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে এই মুহূর্তে বিরত থাকবেন।

রাজয় জানান, সিরিয়ায় বিমান হামলার ব্যাপারে স্পেন তাদের মৈত্রীদের সংস্পর্শে রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সিদ্ধান্তই সুচিন্তিত হতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই