‘বোঝা নয় প্রতিবন্ধীদের সম্পদে পরিণত করতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে একটু সুযোগ প্রয়োজন। তারা কখনোই সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে থাকবে না। প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেলে এরাই দেশ ও সমাজের সম্পদ হবে।

রোববার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরির্দশনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে যথাযথভাবে দায়িত্বপালনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোকে তুলে আনাই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনারা কাজ করবেন। আমাদের দুস্থ, প্রতিবন্ধী, রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় শিশু, সকলেরই ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। যার যে
দায়িত্ব সেটা সঠিকভাবে পালন করলে আমাদের এটা অর্জন করা সম্ভব।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেকটা প্রকল্প যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে কিনা সেটাকে নিবিড় ভাবে মনিটর করা, কার্যকর করা এবং এ থেকে মানুষ সুফল পাচ্ছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সমাজে এর প্রভাব কতটুকু বা সমাজ কতটুকু লাভবান হচ্ছে সেটাও দেখতে হবে। এভাবে যদি কাজ করেন আমরা সফল হতে পারব।’

প্রতিবন্ধীরা কখনো অবহেলিত থাকবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিবন্ধীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি খেলাধুলায় সুস্থরা আর্ন্তজাতিকভাবে কিছু পাক আর না পাক আমাদের প্রতিবন্ধীরা কিন্তু অনেক প্রাইজ নিয়ে আসছে। ক্রিকেটেও দেখা যাচ্ছে প্রতিবন্ধীরা ভালো করছে। যদিও এবার আমরা টেস্ট ক্রিকেটে জয় লাভ করেছি।’

প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলাধুলা, প্রশিক্ষণ ও তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য জন্য একটা কমপ্লেক্স করে দিচ্ছি। পাশাপাশি সংসদের পাশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যে বড় জায়গা আছে, সেখানে তাদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করব। সেখানে আমরা প্রতিবন্ধী ক্রিকেটকারদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেব। প্রতিবন্ধীদের একটু সুযোগ করে দেওয়া গেলে তারা ভালো করবে। শুধু ক্রিকেট নয় অন্যান্য খেলাধুলার ট্রেনিংও চলতে পারে।’

প্রতিবন্ধীদের অবহেলা করে সমাজের বোঝা না বানানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হিজড়াদের ছোট বেলা থেকে সেভাবে শিক্ষা দিয়ে তাদের তৈরি করলে তারাও সমাজে অবদান রাখতে পারবে। তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে তারা অস্বাভাবিক জীবন যাপন করবে। সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে। তারাও তো মানুষ্য। আল্লাহ যাকে যেভাবে বানিয়েছেন সেভাবে তাকে জন্ম নিতে হয়েছে। শুধু হিজড়ারাই নয়, অন্য প্রতিবন্ধীদের সুযোগ সৃষ্টি করে সম্পদে পরিণত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, পথশিশু, নিঃস্ব ও সমাজের অবহেলিতদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই