বর্ষবরণে নাশকতা ঠেকাতে ওয়াচ টাওয়ার

নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পহেলা বৈশাখ পালনের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।ভুভুজেলা বেচাকেনা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর থাকবে।এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তায় যাতে কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে সে ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী ও রমনা পার্কে ঢোকা ও বের হওয়ার আলাদা গেট থাকবে,যাতে করে নারী ও শিশুদেরকে কোনো ধরনের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়।রমনা পার্ক এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশে এবার নারী-পুরুষের আলাদা লাইন থাকবে। প্রবেশ গেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে যেন কাউকে হয়রানির শিকার না হতে হয়।এছাড়া সাদা পোশাকে নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবে।

আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া একথা বলেন।তিনি বলেন, খোলা জায়গায় বিকাল পাঁচটার পর কোনো ধরনের কনসার্ট করা যাবে না। ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক ও টিএসসি চত্বরকে টার্গেট করে ৯টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে।এর মাধ্যমে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। আছাদুজ্জামান মিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নাশকতাকারী যেই হোক এবং অপরাধীরা কোনোভাবেই পার পাবে না।১৩ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল রাত ৯ টা পর্যন্ত স্টিকার বিহীন কোনো গাড়ি ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢোকতে পারবে না।তিনি বলেন, এ ছাড়াও বর্ষবরণের মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে, পেছনে, মাঝে এবং দুপাশে পুলিশি পাহারা থাকবে।রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং টিএসসিতে তিনটি কন্ট্রোল রুম করা হবে। সেখানে থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাবে দায়িত্ব পালনকারী সদস্যরা।তিনি বলেন,সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে টিএসসি এলাকার ফুটপাত এবং রাস্তা হকার মুক্ত রাখা হবে। আমাদের লস্ট ফর কল সেন্টার থাকবে। কোনো শিশু হারিয়ে গেলে সেখানে অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়াও যেকোনো প্রয়োজনে ডিএমপি’র তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া যাবে, যোগ করেন তিনি।

কমিশনার বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেউ যেন মুখোশ না পরেন আয়োজকদের সে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে শোভাযাত্রা উপলক্ষে তৈরি মুখোশ হাতে রাখা যাবে।কিছু কিছু কোম্পানি তাদের প্রচারণার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করেন একই ধরনের টি-শার্ট পরে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে। এই সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এবছর সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হবে। শোভাযাত্রার ভেতরে, সামনে এবং পেছনে আমাদের বিশেষায়িত দল সোয়াট টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া জনস্বর্থে পুলিশ যদি কাউকে চেক করে তাহলে সহযোগিতা করার জন্য তিনি নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক ও টিএসসি গোটা এলাকা আমরা মাইকিংয়ে আওতায় নিয়ে আসবো।কেউ হারিয়ে গেলে বা নাগরিক যদি কোনো সমস্যায় পড়েন তাহলে পুলিশের সাহায্য নেয়া যাবে।নিরাপত্তার স্বার্থে বিকাল চারটার পর কেউ পার্কে ঢোকতে পারবেন না।এ ব্যাপারে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই