বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তিতে জটিলতা

কথিত আছে যেই দেশ যত শিক্ষিত সেই দেশ ততোটা উন্নত। আবার সেই দেশ ততোটাই শিক্ষিত যার শিক্ষা ব্যবস্থা যতটা উন্নত। বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যতটা চিন্তা করা হচ্ছে এর পূর্বে ততটা চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তার পরেও এখন পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট বৈসাম্য রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারী ও বেসরকারী। এই বৈসাদৃশ্য যতো তারাতারি সম্ভব দূর করতে হবে তবেই দেশের মঙ্গল সাধিত হবে। এখন আসি বেসরকারী স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও প্রসঙ্গে। বেসরকারী স্কুল কলেজে একজন শিক্ষক বা কর্মচারীকে এমপিও ভুক্ত হতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। যেটি কোনো ভাবে কাম্য নয়। আমার জানা মতে এমন কোনো চাকরি নেই,যেখানে নিয়োগ পাওয়ার মাস থেকে বেতন চালু হয়না। আবার নিয়োগের পরে বেতনের জন্য ধরপাকড় করতে হয়।কিন্তু বড় দুঃখজনক বিষয় যারা বেসরকারী স্কুল কলেজে চাকুরি করে তাদের এইসব ধরপাকড় বা ঘুষ দিয়ে বেতন করে আনতে হয়।ইতোপূর্বে বেতন করতে শুধু ডিজি তে যোগাযোগ করলেই হতো।কিন্তু আমাদের শিক্ষা বান্ধব সরকার দূর্নীতির দূর করার লক্ষ্যে অনলাইনে সকল কাগজ জমার পদ্ধতি চালু করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এইযে তবুও দূর্নীতির কমেনি। কথিত আছে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান বানে আমাদের হয়েছে সেটি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি।

লেখক:

তানভীর আহম্মেদ
(প্রভাষক পদার্থবিজ্ঞান)
আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়
রাণীনগর, নওগাঁ



মন্তব্য চালু নেই