বেরোবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ

বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)ছাত্রলীগের সাথে উপাচার্যের অসৌজণ্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে উত্তর গেটে সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের দুই গেটে এ তালা লাগায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে¬ ভবন থেকে বের হতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। শেষে পুলিশী পাহারায় নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ভবন থেকে বের হয়ে উপাচার্যের বাসভবনে যান।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে সম্প্রতি সময়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে ছাত্রশিবির কর্তৃক সরকারবিরোধী বেশকিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সাথে আমরা কথা বলার জন্য উপাচার্যের বাসভবনে গেলে তিনি আমাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ বলেন, দেশে জামায়াত শিবিরের চলমান গুম-হত্যা সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাওয়াসহ এই ক্যাম্পাসেও সম্প্রতি শিবিরের ব্যাপক তৎপরতা দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এর প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন শেষে আমরা উপাচার্যের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। উপাচার্য ছাত্রলীগকে একটি বেয়াদব, বেকার ও ফালতু সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেন। এমনকি তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে বাসভবন থেকে বের করে দেন। তাই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা লাগিয়ে দেন।

তিনি আরো বলেন, উপাচার্য ছাত্রলীগের কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকবে।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নূর-উন-নবী বলেন, এমন অভিযোগ সম্পূর্ন বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উল্টো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই আমার কোন অনুমতি না নিয়ে আমার বাস ভবনে জোর করে প্রবেশ করে আমার কাছে নিজেদের অভিভাবকহীন হিসেবে পরিচয় দেয় এবং আমার সাথে খারাপ আচরণ করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এরশাদ আলী বলেন, উপাচার্যের সাথে ভুল বোঝাবুঝির থেকে ক্যাম্পাসে সাময়িক এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বেরোবি ছাত্রলীগ ‘বিএনপি-জামাত-শিবিরের সারাদেশে গুপ্তহত্যা’ এর প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে এক মানববন্ধন-সমাবেশ করে। পরে উপাচার্যের বাসভবনে গেলে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উপাচার্য ছাত্রলীগকে ‘বাজে,বেয়াদব…. বলেছেন এই অভিযোগ তুলে পরে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগায় এবং গেটের সামনে প্রায় ঘন্টাযাবত অবস্থান করে।



মন্তব্য চালু নেই