বেরোবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৭ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনসহ বাংলার সকল মুক্তি সংগ্রামে শহীদদের স্মরণে একুশের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা এক মিনিটে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী স্বাধীনতা স্মারকের পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

সকাল সাড়ে ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় প্রতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।

পরে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাস থেকে একটি শোক র্যা লি বের করা হয়। র্যা লিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। র্যা লিটি নগরীর মডার্ণ মোড় হয়ে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা স্মারকের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এ সময় বীর শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল, দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়।
সকাল ১০টায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন।

উপাচার্য বলেন, মহান একুশ বাঙ্গালি জাতির একটি অর্জন। আর এমন অনেক অর্জন মিলেই আমাদের স্বাধীনতা।’ একুশের চেতনা লালন করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সফলতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন ‘দেশ অনেক এগিয়ে চলেছে। এভাবে এগিয়ে নিতে পারলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। তবেই একুশের প্রকৃত চেতনার বাস্তবায়ন হবে। এজন্য তিনি সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

এছাড়া ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর উপর প্রবন্ধ ও গবেষনার উপর যে পুরুষ্কার দেয়ার কথা ছিল তা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে (জাতীয় শিশু দিবস) দেয়ার ঘোষনা দেন তিনি।

আলোচনার শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার আর ৭২ দিন মেয়াদ আছে। মেয়াদ শেষে বিদায় নেয়ার সময় তার ব্যাক্তিগত কালেকশনের সমস্ত বই বিশ্ববিদ্যালযের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে দেয়ার ঘোষনাও দেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন মোঃ ফেরদৌস রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম রব্বানী, উপাচার্যের সহধর্মিনী মিসেস গুল নাহার নবী এবং অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক প্রমুখ। রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না ছিদ্দিকা। অনুষ্ঠানে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দু’আ পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম রকিব উদ্দীন আহম্মেদ।



মন্তব্য চালু নেই