বেতন কাঠামো পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার সময় বাড়ল

বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে পর্যালোচনা প্রতিবেদন দেওয়ার সময় আরও এক দফা বাড়ান হল। কমিটিকে আর ৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

সময় বৃদ্ধি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

নতুন করে সময় বাড়ানোর কারণে কমিটিকে আগামী ১৩ মের মধ্যে বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে হবে।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের সময় চার সপ্তাহের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটিকে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় দুই দফা বাড়ান হল।

গত ২১ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন তুলে দেন ‘জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন, ২০১৩’-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

বেতন কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব। অর্থবিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।

কমিটি ‘সশস্ত্রবাহিনী বেতন কমিটি, ২০১৩’-এর প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে।

সরকারি ১৩ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রস্তুত করা বেতন কমিশন প্রতিবেদনে সর্বনিম্ন ধাপের মূল বেতন ৮ হাজার ২০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ধাপে (১ নম্বর) ৮০ হাজার টাকা সুপারিশ করেছে। প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামোতে বর্তমানের ২০টির জায়গায় ১৬টি গ্রেড রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদন পেশের দিনই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন বেতন কাঠামো আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।



মন্তব্য চালু নেই