অসন্তোষের আশঙ্কা

বেতন আদেশের ফাইল ফেরত চাইলেন অর্থমন্ত্রী

ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো নতুন বেতন আদেশের ফাইল আইন মন্ত্রণালয়কে ফেরত দিতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সচিবালয়ের নিজ কক্ষে আইন ও সংসদ বিষয়ক সচিব শহীদুল হককে ডেকে ফাইলটি ফেরত দিতে বলেন মন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, বেতন আদেশ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ওই পর্যবেক্ষণগুলো বেতন আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে কি-না সেটিই যাচাই করে দেখতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেতন আদেশের খসড়া ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় অর্থ বিভাগ।
এর আগের দিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ জানিয়েছিলেন, ভেটিং হয়ে গেলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই গেজেট জারি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
সূত্রগুলো আরও জানায়, বেতন আদেশ নিয়ে কাজ করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন এক অতিরিক্ত সচিবের একগুঁয়েমির কারণেই অর্থমন্ত্রীর অনেক সুপারিশ প্রতিফলিত হয়নি। এ ছাড়া যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেগুলো বেতন-ভাতা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ নতুন করে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি সত্তেও টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসেনি বেতন আদেশে। উপরন্তু বেতন আদেশের গেজেট জারি হওয়ার পর গত জুলাই থেকে পরবর্তী যেসব মাসের বেতন-ভাতা তোলা হয়েছে বা হবে, সেখান থেকে প্রাপ্ত সুবিধা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। এই প্রাপ্য সুবিধার মধ্যে টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড এবং মহার্ঘ্য ভাতাসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
একাধিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা যে বেতন কাঠামো অনুমোদন করেছে, সে অনুযায়ী বেতন আদেশ চূড়ান্ত করেছে অর্থ বিভাগ।
তবে সেখানে একটি ইস্যু সংযুক্ত করে বলা হয়েছে : সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল, বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যেগুলো চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে গেজেট (বেতন আদেশ) জারি পর্যন্ত প্রদান করা হয়েছে, সেগুলো রহিত করা হচ্ছে। এ ইস্যুটি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আবারও অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই