বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রে চারজনের চাকুরী রাজস্ব খাতে নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

উপমহাদেশের রোকেয়া অনুরাগী মানুষের ঐকান্তিক দাবির প্রেক্ষিতে বিগত আওয়ামী সরকার আমলে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি রংপুরের পায়রাবন্দে গড়ে তোলা বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র নানা প্রতিকূলতার অবশেষে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকুরী রাজস্বখাতে নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও সহিদুল করীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত রবিবার এক রায়ে এ নির্দেশ দেন।

বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক আব্দুল্ল্যাহ-আল-ফারুক, সহকারী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা কামাল হোসেন, সহকারী গ্রন্থাগারিক আবেদা সুলতানা, নৈশ্যপ্রহরী আব্দুল বাতেনের করা রীট আবেদনের উপর শুনানী শেষে এ রায় দেয়া হয়। রীট আবেদন করার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শাহিদা খান। ২০০৪ সালের জুন মাসের মধ্যে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সবমিলে ওই সময় মোট ১৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

 

স্মৃতি কেন্দ্রটি ২০০৪ সালে প্রকল্পের মাধ্যমে চালু হতে না হতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতনভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় তাদের নানা কষ্টের কাহিনী। সেইসাথে শুরু করেন বিভিন্ন সরকারী তপ্তরে দৌড়ঝাপ। চালাচালি করা হয় চিঠিপত্র। আওয়ামী সরকার ১৯৯৭ সালে রোকেয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মান করেন বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র।

Photo, Rokeya-1

২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কেন্দ্রটিতে গার্মেন্ট শ্রমিক বানার ফেক্টরিতে পরিনত করে। ফলে নির্মিত স্মৃতি কেন্দ্রের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। দেশের গোটা সাংবাদিক সমাজ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে স্মৃতি কেন্দ্রটি উদ্ধারের জন্য বলিষ্ট ভূমিকা পালন করে।

সেই সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর না করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে স্মৃতি কেন্দ্রটি ন্যস্ত করে। যা আমাদের সংবিধানের ২৩ ও ২৪ অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ২০০৮ সালে স্মৃতি কেন্দ্রের ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী রীট আবেদন করেন। এ রায়ের মধ্যদিয়ে নানা প্রতিকূলতা ও জটিলতার অবসান হয়। বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি পায়রাবন্দ আবার আলোকিত হয়ে উঠবে রোকেয়া অনুরাগী মানুষের এই প্রত্যাসা।



মন্তব্য চালু নেই