বৃষ্টি শেষ হবে কাল, তারপর ঝড়ো হাওয়া

চৈত্রের দাবাদহ মানেই সূর্যের প্রচণ্ড শাসন। গরমে তাপে ঘামে একসা। গরমে মানুষের মেজাজ যখন খাট্টা তখন হঠাৎ বৃষ্টি মানুষকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে যেভাবে বৃষ্টি নামছে, তাতে পথে চলতে গিয়ে সাময়িক সে স্বস্তি এখন দুর্ভোগে পরিনত হয়েছে ঢাকাবাসীর কাছে। এখানকার আবহাওয়া যেন বলছে প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল।

তবে কি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই প্রকৃতির এই বিরূপ রূপ! বিষয়টি জানতে কথা হয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাসনাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রাও যে বাড়ছে এটা এখন প্রমাণিত। তবে এখনো ভয়ের কিছু নেই। জলবায়ুর পরিবর্তন অনুমান করা গেলেও এর প্রভাবজনিত ক্রিয়া বোঝা যাবে ১০ বছর পর।’

আবহাওয়াবিদ হাসনাত বলেন, ‘২০০৫ সালের পর বর্ষাকাল ব্যতিত প্রথম এতো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এ বৃষ্টির কারণ হলো, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু হওয়া পশ্চিমা লঘুচাপ। এই পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে যখন পূবালী লঘুচাপের মিশ্রণ ঘটে তখন শীলা বৃষ্টি বা কখনো ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসময় ঠাণ্ডাও অনুভব হতে পারে।’

তবে এ অসময়ে প্রকৃতিতে যে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ভয়ের কিছু নেই বলে জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই উপ-পরিচালক। তিনি বললেন, ‘এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণ, এতে বরং উপকারই হয়।’

কি সেই উপকার এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, ‘মেঘের গর্জনের সঙ্গে যে বজ্রপাত হয় তা বৃষ্টির পানিতে মিশে মাটিতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে, যা মাটির ঊর্বরতা বাড়ায়। আর এতে আমাদের কৃষিজমিতে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমায়।’

এদিকে ২৫ মার্চ থেকে প্রকৃতিতে শুরু হওয়া এমন হঠাৎ বৃষ্টি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। পাশাপাশি এরই মধ্যে চৈত্রের খরতাপও শুরু হয়ে যাবে। তবে এপ্রিল মাসজুড়ে মাঝে মাঝে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ হাসনাত।



মন্তব্য চালু নেই