‘বুকটাই শুধু আমার পরিচয় নয়’

মা পূজা বেদী ছিলেন নিজের জমানার ডাকসাইটে সুন্দরী। সুনামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছিল বিতর্কের আনাগোনা। তাঁরই মেয়ে আলিয়া ইব্রাহিম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা ছবি পোস্ট করে ইতিমধ্যেই বিতর্কের শিরোনামে আলিয়া।

আর এই খোলামেলা ছবির জন্যই কি না ১৯ বছরের আলিয়া সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যথেষ্ট জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৩৭ হাজার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতোই ওপেন ফোরামে আলিয়ার জীবনযাত্রা দেখে তাঁর বহু অনুরাগী তাঁকে ‘পতিতা’ বা ‘যৌনকর্মী’ হিসেবেও মন্তব্যও করেছেন।

অনেকের মতে, প্রায় সব ছবিতেই আলিয়ার ‘শরীর প্রদর্শন’ বিতর্কের শীর্ষে তুলে দিয়েছে তাঁকে। অনেক আবার মন্তব্য করা শুরু করেছেন, আলিয়া নাকি বলিউডের জন্য নয়, পর্ন দুনিয়ায় পা রাখার জন্য তৈরি হচ্ছেন। তবে সমালোচকদের এই ধরনের মন্তব্যে আদৌ শুনতে নারাজ আলিয়া কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যৌনবিষয়ক নানা সমালোচনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আলিয়া। বলিউড ধামাকা জানিয়েছে, মুম্বাইয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আলিয়া বলেন, ‘অন্য কেউ বিকিনি পরলে কোনও সমস্যা নেই। আমি বিকিনি পরে ছবি পোস্ট করলেই কটু মন্তব্য করতে থাকেন অনেকেই।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই করা হচ্ছে।‘

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শরীর প্রদর্শনের সমালোচনা প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘আমার স্তনবিভাজিকা যদি দেখা যায়, তার মানে এই নয় যে আমি সেটা দেখিয়ে অন্য কিছু ইঙ্গিত করতে চাইছি। আমার বুকটাই শুধু আমার পরিচয় নয়। তাই শুধু আমার স্তন দেখে আমার সম্পর্কে ধারণা করাটা ঠিক নয়। আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। আমি যেমন চাই তেমন পোশাক পরতে পারি। সেই স্বাধীনতা আমার আছে।’

‘কোনো বোরখা পরা মেয়ে বা সালোয়ার কামিজ কিংবা শাড়ি পরা মেয়েরা যেমন সম্মান পায়, আমারও সেই সম্মান প্রাপ্য। আমার ব্যক্তিসত্বা, আমার সাফল্য সবটাই শুধুমাত্র আমার স্তন দিয়েই পরিমাপ করাটা ঠিক হবে না একেবারেই। আমার নিজের কিছু ভাবনা আছে। আমার টপের গলাটা একটু বেশি বড়ো মানেই এই নয় যে, আমি একজন যৌনকর্মী। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার সবার আগে। মেয়েদের পোশাককে তাঁদের চরিত্রের মাপকাঠি বানানো বন্ধ হোক।’

নিজের সময়ে আলিয়ার মা পূজা বেদীও প্রকাশ্যে খোলামেলা ছবি নিয়ে বহুবার বিতর্কিত হয়েছিলেন। এবার মায়ের সেই পথেই নিজেকে একধাপ এগিয়ে রাখলেন ছোট মেয়ে আলিয়া ইব্রাহিম।



মন্তব্য চালু নেই