বিয়ের ২ বছরে মাত্র তিনবার যৌনমিলন! তালাক চেয়ে স্ত্রীকে স্বামীর চিঠি, পড়লে চমকে উঠবেন

একজন অসুখী স্বামী তার স্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এতে তিনি তুলে ধরেছেন তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাওয়ার কারণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

আমি ঠিক জানিনা কোথা থেকে শুরু করব। এ বছরের অক্টোবরে আমাদের বিয়ের পাঁচ বছর পূর্তি হবে। আমার ঠিক জানা নেই, কেন আমি এ বিয়েতে রাজি হয়েছিলাম। আমরা কখনোই প্রস্তাব দিইনি কিংবা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলিনি। আমি বিয়ের জন্য চাপের মাঝেও ছিলাম না। তুমিও ছিলে না। আমরা দুজনে আমাদের পিতা-মাতাকে সুখী করার জন্য বিয়েতে রাজি হই।

শুরুতে আমি এ বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু বিয়ের দিন কাছাকাছি চলে আসার মুহূর্তে আমি বিষয়টি নিয়ে বিরক্তিবোধ শুরু করি। তবে আমি ধরে নিয়েছিলাম বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ভালোই হবে।

বিয়ের প্রথমে আমি যথেষ্ট আনন্দিত ছিলাম। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে তোমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টি সব সময় আমার মনে চলছিল যে, এটি ঠিক হচ্ছে না।

আমার পরিচিত মানুষদের মাঝে অনেকেই জানত না যে, আমি বিবাহিত। আমার বাইরের জগতের কাছে তোমার স্থান গোপনই ছিল। ফেসবুকে যেমন এ বিষয়ে কিছু ছিল না তেমন অন্য ক্ষেত্রেও নয়।

আমি তোমার দেখাশোনা করতাম। তোমার জন্য বহু জিনিস কিনতাম। কিন্তু তোমার কোনো আবেগগত বিষয় আমি জানতে পারিনি। সত্যটা হলো, আমি তোমার প্রতি কখনোই ভালোবাসা অনুভব করিনি, তোমার কাছ থেকেও তা পাইনি। তোমার পক্ষ থেকে তাই ‘আই লাভ ইউ’ কথা শোনা নিতান্তই বিরক্তিকর ছিল। পাঁচ বছর পরেও তোমার সঙ্গে আমার সেই দূরত্ব রয়ে গিয়েছে। আমি কখনোই তোমার প্রিয় রঙ এবং অন্যান্য মূল বিষয়গুলো, যা অন্য দম্পতিরা জানে তা জানার আগ্রহ পাইনি।

আমাদের যৌন বিষয়ও প্রায় অনুপস্থিত। গত ১৮ মাসে আমাদের মাত্র তিনবার যৌনতা হয়েছে। এটি হয়েছে তোমার আগ্রহেই। একজন পুরুষ হিসেবে তার সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতার বিষয়গুলো কতদিন পর পর হয় তা নিয়ে আমার এক বন্ধু কিছুদিন আগে আলাপ করে। তার সে সময়ের রুটিন শুনে আমি হতাশ হয়ে পড়ি। কারণ ৩০ বছর বয়সী একজন পুরুষ হিসেবে আমার নিয়মিত যৌনতায় লিপ্ত হওয়া উচিত। যদিও আমি এটি তোমার সঙ্গে করতে আগ্রহবোধ করি না।

গত বছর তুমি তোমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছিলে। সে সময় দুই সপ্তাহের জন্য আমি অত্যন্ত আরামদায়ক অবস্থায় ছিলাম। আমি খালি বাসায় দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। আশা করছিলাম তুমি আর আসবে না।

আমি জানি, আমার সুখের জন্য তুমি বহু কিছু করতে পার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি তা চাই না। আমি তোমার আবেগ ও অন্যান্য বিষয়কে আমার জীবনের সঙ্গে জোড়া লাগাতে অনাগ্রহী। যাই হোক, এসব কারণে আমি তোমার সঙ্গে বিচ্ছেদে আগ্রহী। আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না। কিন্তু তার পরেও আমি ঠিক জানি না, কিভাবে একত্রে বসে বিচ্ছেদের বিষয়টি ঠিক করা যাবে।

আমি যা বলেছি, আমি তোমাকে যেমন ভালো বাসিনা তেমন চাইনা তোমাকে আঘাত করতে। আমি স্বার্থপর নই। তার পরেও এটি সত্যি যে, আমি বর্তমান পরিস্থিতিতে অসুখী। -তোমারই…



মন্তব্য চালু নেই