বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক, শিক্ষক গ্রেপ্তার

নাটোরের সিংড়ায় বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি ও সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আক্তারুজ্জামান (৪৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতারণার শিকার স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী বাদী হয়ে সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

আক্তারুজ্জামান পৌর এলাকার বালুয়া বাসুয়া মহল্লার মৃত মকছেদ আলীর ছেলে এবং বিলহালতী ত্রিমোহনী ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক।

সিংড়া থানায় দায়ের করা মামলা (০৮- ০৬/১০/১৫) সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর আগে প্রভাষক আক্তারুজ্জামান ওই নারীর মোবাইলে ফোন করে উত্যক্ত করতেন। ফোনে কথা হওয়ার সুবাদে দেখা সাক্ষাতের মাধ্যমে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দৈহিক মেলামেশা করেন শিক্ষক আখতারুজ্জামান। বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

গত ২ অক্টোবর পৌর এলাকার পেট্রেবাংলা মহল্লায় ওই নারীর এক আত্মীয়ের বাসায় বিয়ের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পারিবারিক কারণে তার আত্মীয়রা বাসায় না থাকায় সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন প্রভাষক আক্তরারুজ্জামান। মঙ্গলবার আবারও বিয়ের প্রলোভনে তাকে নাটোর আদালতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। পথে খেজুরতলা এলাকায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ওই নারী বাদী হয়ে প্রভাষক আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী মারা গেলে তিনি সম্প্রতি একজন নারী কাউন্সিলরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। এরপরও একজন প্রভাষক হিসেবে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মণ্ডল জানান, আসামিকে কারাগারে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই