বিয়ের দু’ঘণ্টার মধ্যে ফোন করে স্বামীকে ‘তালাক’ দিলেন স্ত্রী!

বিয়ের দু’ঘণ্টার মধ্যে একটি গাড়ি পণ হিসাবে দাবি করেছিল বরপক্ষ। সেই দাবিতে অনড় ছিল তারা। কনে পক্ষের কোনও কথা তারা শুনছিল না। সেই দেখে অপমানিত, ক্ষুব্ধ কনে বাপের বাড়ি ফিরে আসে। এরপরে ফোন করে স্বামীকে তিন তালাক দিয়ে বিচ্ছেদ করে নিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাঘপেট জেলায় দাহা গ্রামে। ঘটনাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলে পঞ্চায়েতও কনের সমর্থনে রায় দিয়েছে এবং বরপক্ষকে ২.৭৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। সেই টাকা মিটিয়েও দিয়েছে বরপক্ষ।

কনের সাজে থাকা মেয়েটির নাম মহসিনা। সে জানিয়েছে, বরপক্ষের পছন্দমতো সমস্ত কিছুই জোগাড় করা হয়েছিল। তবে নিকাহ করার ২ ঘণ্টার মধ্যে পণ হিসাবে গাড়ি দাবি করে বসে বর। সেই দেখে আমি স্বামীকে তালাক দিয়েছি। আমি চাই আমাকে দেখে অন্য মেয়েরাও যেন সাহসী পদক্ষেপ নেয়।

জানা গিয়েছে, গত ২১ জুলাই মহসিনার নিকাহ হয়েছিল পাশের গ্রামের মহম্মদ আরিফের সঙ্গে। শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছনর পরই গাড়ির দাবি করা হয়। এরপর মহসিনা ফোন করে তার মা-কে ডেকে পাঠায়। তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বরপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন।

এরপরে ২৪ জুলাই বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত বসে। পঞ্চায়েত প্রধান সুশীল রানা রায় দেন, মহসিনা নিকাহ করার পরে বরের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন তবে বরপক্ষই অহেতুক দাবিতে অনড় ছিল। এরপর সেখান থেকে মহসিনাকে ফোনে ধরা হলে সে মোবাইলেই তিনবার তালাক বলে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। এরপর পঞ্চায়েত কনেপক্ষের পক্ষে রায় দিয়ে বিচ্ছেদ মেনে নেয় ও জরিমানা নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে আগামী তিনবছর আরিফ কাউকে বিয়ে করতে পারবে না বলেও রায় দেওয়া হয়েছে। -অনইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই