বিয়ের চেয়ে লিভ টুগেদারে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেশি

নতুন প্রজন্মের কাছে বিয়ের চেয়েও ‘লিভ টুগেদার’ বেশি জনপ্রিয় এবং আস্থাযোগ্য বলে জানালেন ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।

নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন প্রজন্ম বিয়ের চেয়ে লিভ ইন অর্থাৎ অবিবাহিত নারী এবং পুরুষ একসঙ্গে বসবাস করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

২০০০ সাল থেকে সংগৃহীত তথ্যভাণ্ডার অনুযায়ী বিয়ে ভাঙলে যে মানসিক বিপর্যয় তৈরি হয় সেই একই রকম টালমাটাল মানসিক টানাপোড়েন চলে লিভ ইন সম্পর্ক ভাঙলেও। বিয়ের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে যে যে শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক আস্তে আস্তে আরও দৃঢ় হয়, লিভ ইন সম্পর্কেও বিষয়টা একই ভাবে তৈরি হয়। পারস্পরির বিশ্বস্ততা একই রকম। এমনকি সমস্যা গুলোও একই ধাঁচের। বরং সামাজিক বিধি নিষেধ তুলনা মূলক কম থাকে বলে সঙ্গীদের মধ্যে মানসিক বোঝাপড়া বেশি হয়। সম্পর্কও হয় অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ হয়।

২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া প্রায় আট হাজার ৭শ’ জন এই জরিপে অংশ নেয়। এদের সবাই ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে জন্ম নেয়।

তবে প্রাচীন পন্থীদের দাবি, লিভ ইন সম্পর্কে বিবাহিত সম্পর্কের মতো প্রতিশ্রুতি এবং দায়বদ্ধতা থাকে না। থাকে বিবাহিত দম্পতির মতো ভালোবাসার গভীরতাও। প্রাচীন পন্থীদের এই দাবিকে ভুল এবং প্রথাগত ধারণা বলছে নতুন এই গবেষণা।

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিয়ের সঙ্গে আদতে লিভ ইন সম্পর্কের কোনও পার্থক্য নেই। অল্প বয়সী যুগলদের ক্ষেত্রে, বিশেষত নারীরা বিয়ের মতো একই মানসিক বন্ধন, দায়বদ্ধতা নিয়ে লিভ ইন সম্পর্কে জড়ান।



মন্তব্য চালু নেই