বিহার রাজনীতিতে মমতার নতুন কৌশল

বিহারে চলছে ভোটের ডামাডোল। এরইমধ্যে হঠাৎই জেডিইউ নেতা তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেছে খোঁদ জেডিইউ। কেন মমতা এমন করলেন— এর জবাব খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে তাঁর জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চাওয়ার প্রসঙ্গ।

টুইটারে গতকাল মমতা বার্তা দিয়েছেন—’বিহারবাসীকে অনুরোধ, তাঁরা যেন দেশ ও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য নীতীশ কুমারজিকে পুনর্নির্বাচিত করেন।’ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ওই বার্তা দেখে ঘণ্টাদেড়েক পরে নীতীশও টুইট করে মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আর এখানেই ধন্দে পড়েছেন জেডিইউ নেতারা। তাঁদের দাবি, প্রথমে কথা ছিল নীতীশের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন মমতা। ওই বিষয়ে ২২ সেপ্টেম্বরের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানোও হয়। কিন্তু তার পরে থেকে দু’পক্ষে কোনও যোগাযোগ হয়নি। চলতি বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দিকে তৃণমূল বা মমতার তরফে কোনও বার্তাও আসেনি। তা হলে প্রথম দু’দফার নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে এখন আচমকা কেন নীতীশের সমর্থনে মমতা বার্তা দিলেন? ভাগলপুর এবং গয়ার মতো বাঙালি-প্রধান এলাকায় ভোট শেষ হওয়ার পরে মমতার বার্তায় কোনও কাজ হবে কি না, তা নিয়েও জেডিইউ নেতারা ধন্দে পড়েছেন।

তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, মমতার মূল উদ্দেশ্য এক দিকে যেমন জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলা, তেমনই অন্য দিকে বিজেপি নেতৃত্বকে পাল্টা চাপে রাখা। দাদরি বা তার পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে দেশ জুড়ে সম্প্রতি বিজেপি-বিরোধিতার হাওয়া জোরালো হচ্ছে। এই অবস্থায় দুর্গাপুজো মিটতেই সক্রিয় হয়েছেন মমতা। বিজেপি-বিরোধিতার এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি।

কিন্তু শুধুই কি তাই? তৃণমূলের অন্দরের খবর, অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে একটি ফ্রন্ট গড়তে আগেও সক্রিয় হয়েছেন মমতা। জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কুশীলব হয়ে ওঠার আকাঙ্খা থেকেই তৃণমূল নেত্রী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেজরীওয়ালকে সমর্থনের ডাক দিয়েছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নীতীশের পটনার তখ্‌তে প্রত্যাবর্তনের অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন। একইভাবে এ বার বিহারের নির্বাচনে নীতীশকে সমর্থন জানালেন।

-আনন্দবাজার অবলম্বনে



মন্তব্য চালু নেই