বিশ্ব কাঁপানো চার ভাষণ

যুগে যুগে বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের ত্রাণকর্তা হয়ে এসেছিলেন কিছু মানুষ। যারা রাজনৈতিক ভাবে পথ দেখিয়েছেন। অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। এই মানুষগুলোর একটু মুখের কথা পাল্টে দিয়েছে ইতিহাস।

এমনি এক গণমানুষের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যে ভাষণের হাত ধরে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামের এক স্বাধীন দেশের। আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ দিনকে সামনে রেখে পৃথিবীর সাড়া জাগানো চারটি ভাষণের কিছু অংশ নিয়ে আমাদের আয়োজন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণটি বিশ্লেষণ করে মার্কিন ম্যাগাজিন নিউজ উইক শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক কবি উপাধি দিয়েছিল। তার সেই ঐতিহাসিক ১৮ মিনিটের ভাষণের কিছু অংশ:

‘আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও যশোরের রাজপথ আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত।

আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়-বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়। কিন্তু ২৩ বছরের ইতিহাস বাংলার মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ২৩ বছরের ইতিহাস বাংলার মুমূর্ষু নরনারীর র্আতনাদের ইতিহাস।

১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি, ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করেও ক্ষমতায় বসতে পারিনি। ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক শাসন জারি করে আইয়ুব খান দশ বছর আমাদের গোলাম করে রাখল। ১৯৬৬ সালে ৬-দফা, ১৯৬৯ সালে গণ-আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খানের পতনরে পর ইয়াহয়িা খান এলেন। তিনি বললেন, জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন, শাসনতন্ত্র দেবেন, আমরা মেনে নিলাম।

তার পরের ঘটনা সকলইে জানেন। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা হলো- আমরা তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারী জাতীয় পরষিদের অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করলাম। আমি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র পাকিস্তানের মেজোরিটি পার্টির নেতা হিসেবে তাকে এ অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আমার কথা রাখলেন না, রাখলেন ভুট্টো সাহবের কথা। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি অধিবেশন ডাকলেন।

আমি বললাম, তবুও আমরা জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যাব এবং যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজনও যদি সে হয় তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব। ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন। বলে গেলেন, আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরো আলোচনা হবে।

কী পেলাম আমরা? আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমন থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে।

টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাকে আমি বলছেলিাম, জেনারেল ইয়াহযি়া খান সাহেব আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরীবরে ওপর, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। আমি নাকি স্বীকার করেছি, ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি তো অনেক আগেই বলেছি, কিসের রাউন্ড টেবিল, কার সঙ্গে বসবো?

২৫ তারিখে এসম্বেলি কল করছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি ওই শহীদদের রক্তের ওপর পারা দিয়ে আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না।

এসম্বেলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে। প্রথমে, সামরকি আইন- র্মাশাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। জণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো আমরা এসেম্বলিতে বসতে পারব কি না?

আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধকিার চাই। তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যকে ঘরে ঘরে র্দুগ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবলো করতে হবে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তরি সংগ্রাম, এবাররে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

মার্টিন লুথার কিং :
নিগ্রোদের অধিকার আদায়ে আপোসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন আফ্রিকান-মার্কিন মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। আমেরিকায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। তার বিখ্যাত ভাষণ ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’।

‘আজ আমি আপনাদের সাথে এমন এক সমাবেশে মিলিত হতে পেরে অনেক খুশী হয়েছি। যা মুক্তিকামী মানুষের বৃহত্তম জমায়েত বলা যেতে পারে। একশো বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু কালোরা আজও মুক্তি পেল না। বৈষম্য এবং বিচ্ছিন্নকরণের চক্রে পড়ে নিগ্রোদের জনজীবন আজ মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। একশো বছর পার হলেও আমেরিকার উন্নয়নে নিগ্রোরা আজও অথৈ মহাসাগরের মাঝে ক্ষুধার দ্বীপে বসবাস করে যাচ্ছে। তাই আমরা এখানে লজ্জাজনক পরিস্থিতির একটি নাটক মঞ্চায়ন করতে সমবেত হয়েছি।

বিলাসিতার সময় এখন নয়। গণতন্ত্রের দাবি বাস্তবায়নের সময় এখন। এখনই সময় পতিত বিস্তীর্ণ দ্বীপ থেকে বেরিয়ে আসার। অন্ধকার ভেদ করে আলর দিশারী হওয়ার মোক্ষম সময় এটি।

আমরা কেউ একাকী চলতে পারব না। আমাদের সবসময় একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। অনেকেই আমাদের জিজ্ঞেস করেছে যে আমরা কখন বাড়ি ফিরে যাব। আমরা নিশ্চুপ থাকি কী করে? যখন দেখি দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর এ শহরের হোটেল এবং মোটেলগুলোতে আমাদের জন্য জায়গা হয় না। তখন আমাদের ব্যক্তিত্ব ধূলোয় মিশে যায় যখন দেখি হোটেল এবং মোটেলের দেয়ালে ‘শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য’। আমরা কিভাবে সহ্য করি যেখানে মিসিসিপির নিগ্রোদের ভোটের অধিকার নেই। এভাবে ছোট ছোট লাঞ্ছনা থেকে বড় বড় লাঞ্ছনার দিকে আমাদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে। না না আমরা খুশি নই। আমরা খুশি হতে পারি না।

সমাবেশে সমবেত অনেকেই বিভিন্ন বিচারের ট্রায়াল এবং ট্রিবুলা থেকে এসেছেন। কেউবা হয়তো সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসেছেন। কিন্তু সবার লক্ষ্য কিন্তু এক। সবাই এখানে আজ স্বাধীনতা এবং পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলতে এসেছে। আপনারা হলেন সৃষ্টিশীল দুর্দিনের বীর সেনানী। আপনারা কাজ চালিয়ে যাবেন এই বিশ্বাসের সাথে যে এ অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্টই আপনাদের মুক্তি এনে দেবে।

এতকিছুর পরও আমার একটা স্বপ্ন আছে। এমন একটা স্বপ্ন যার শিকড় আমেরিকার মূলস্বপ্নে আবদ্ধ। এ জাতি একদিন জেগে উঠবে এবং তার সত্যিকার আদর্শ অনুসরণ করবে। আমরা এই সত্যে বিশ্বাসী যে, পৃথিবীর সব মানুষকে সমানভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।

একদিন জর্জিয়ার লালপাহাড়ে কৃতদাসের সন্তানেরা এবং তাদের মালিকেরা একত্রে ভ্রাতৃত্বের টেবিলে বসতে পারবে। `মিসিসিপি`, যেখানে অন্যায়-অত্যাচারের বিভীষিকা মাত্রা ছাড়িয়েছে, সেটি একদিন স্বাধীনতা আর সুবিচারের নন্দনকাননে পরিণত হবে। আমার ছোট চার সন্তান এমন এক জাতিতে বাস করবে যেখানে তারা তাদের গাত্রবর্ণ দ্বারা মূল্যায়িত না হয়ে তারা তাদের চারিত্রিক উৎকর্ষ দ্বারা মূল্যায়িত হবে। আজকে আপনাদের কাছে আমি এই স্বপ্নগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি।

আমি স্বপ্ন নিয়ে এসছি একদিন অ্যালাবামায় ছোট ছোট কৃষ্ণাঙ্গ বালক-বালিকারা শ্বেতাঙ্গ বালক-বালিকাদের সাথে হাত মেলাবে। ভাইবোনের মত। একদিন প্রতিটি উপত্যকা উন্মুক্ত হবে।

জানি মুক্তি আমাদের আসবেই। সেই দিন খুব বেশী দূরে নয়। দিন! এবং সেই দিন ঈশ্বরের সকল সন্তান গেয়ে উঠবে…এ আমার দেশ…স্বাধীনতার স্বর্গভূমি। স্বাধীনতার ঘন্টা বাজতে থাকুক সমগ্র আমেরিকা জুড়ে।

আমরা যখন স্বাধীন হব তখন বাড়ি থেকে বাড়িতে, গ্রাম থেকে গ্রামে, উপশহর থেকে উপশহরে, প্রতিটি রাজ্যে, আকাশে, বাতাসে স্বাধীনতার তোপধ্বনি দিব। সেদিন ঈশ্বরের প্রতিটি সন্তান, সাদা-কালো, ইহুদি-নাসারা, প্রোটেস্ট্যান্ট-ক্যাথলিক প্রত্যেকে একত্রে হাত রেখে প্রাচীন নিগ্রোদের প্রাণের সুরে বলব-অবশেষে আমরা মুক্ত! অবশেষে আমরা মুক্ত! সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। অবশেষে আমরা মুক্ত ’

আব্রাহাম লিঙ্কনঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট তিনি। ১৮৬১ সালে গৃহযুদ্ধকালে লিংকনের অবদানের কারণে দ্বিখণ্ডিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় আমেরিকা। ১৮৬৩ সালের ১৮ নভেম্বর গেটিসবার্গে ভাষণ দিয়েছিলেন লিঙ্কন। যা আমেরিকানদের জন্য মূল্যবান দলিল।

ভাষণে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ৮৭ বছর আগের কথা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা একটি নতুন জাতির গোড়াপত্তন করেছিলেন। যে জাতি স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত এবং ‘সকল মানুষ সমান’ এই নীতিতে উৎসর্গীকৃত।

বর্তমানে আমরা বিরাট এক গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি। যে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষা করছি যে, এই নীতিতে দীক্ষিত ও উৎসর্গীকৃত ঐ জাতি বা অন্য যে কোনো জাতি দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে কি না।

এই জাতি যাতে বেঁচে থাকতে পারে অনন্তকাল ধরে তার জন্য যারা এখানে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদেরই এক অন্তিম আশ্রয়স্থলের একাংশকে উৎসর্গের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। এই কাজ সম্পাদন করা আমাদের সকলের পক্ষে যথাযথ এবং উপযুক্ত।

কিন্তু বৃহত্তম দিক পর্যালোচনা করলে আমরা এই ভূমি উৎসর্গ, পবিত্র কিংবা মহিমান্বিত করতে পারি না। যে সমস্ত জীবিত এবং মৃত ব্যক্তিরা মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, তারাই এই ভূমিকে পবিত্র করেছেন। সুতরাং এই পবিত্রতা হ্রাস করা আমাদের পক্ষের কাজ নয়।

আমরা এখানে যাই বলি না কেনো পৃথিবী হয়তো সেটি বেশী দিন স্মরণে রাখবে না। দৃষ্টিও দিবে খুব সামান্য। কিন্তু আমাদের বীর সন্তানদের কার্যকলাপ কখনোই স্মৃতির পাতা বিস্মৃত হবে না। বরং তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে প্রতিনিয়ত। আমাদের বীর সন্তানেরা নিষ্ঠার জন্য চরম মূল্য দিয়ে গেছেন। আমাদের উচিৎ সেই নিষ্ঠা মনের মধ্যে লালন করা। এখান থেকে আজ আমরা দৃঢ় সকল্প গ্রহণ করব যাতে করে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে না যায়। যেন এই জাতি বিধাতার কৃপায় স্বাধীনতার নব-জন্ম লাভ করে।

জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার ও জনগণের জন্য গঠিত সরকার যেন কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত না হয়।’

উইনস্টন চার্চিলঃ
সামরিক ও রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্যবার ভাষণ দিলেও ১৯৪০ সালের ১৩ মে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণটি উইনস্টন চার্চিলকে স্মৃতির পাতায় অমর করে রেখেছে। এই ভাষণ ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে আমূল পরবর্তন আনে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চার্চিলের আগ্রাসী ভূমিকা এবং জার্মানির প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কারণে জার্মানির সঙ্গে যে কোনো আপসের ক্ষেত্রে সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান করেন। তার এ ঐতিহাসিক বক্তৃতা ছিল-

‘যারা এই সরকারে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তাদের আমি বলেছি আর এই মহান সংসদকেও বলছি, দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার, আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু আর ঘাম। আমাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা, আমাদের মাসের পর মাস যুদ্ধ করতে হবে আর কষ্ট সহ্য করতে হবে।

তোমরা যদি জিজ্ঞেস কর আমাদের নীতিমালা কি, তবে জেনে রাখ আমাদের একটাই নীতি; জল, স্থল ও আকশপথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া, আমাদের সবটুকু সামর্থ্য আর ঈশ্বর প্রদত্ত শক্তি নিয়ে আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেত হবে এক নিষ্ঠুর দানবের বিরুদ্ধে। এটাই আমাদের নীতি ।

যদি প্রশ্ন কর আমাদের লক্ষ্য কী, তবে শুনে রাখ একমাত্র বিজয় ছাড়া আমাদের আর কোনো লক্ষ্য নেই। পথ যতই দীর্ঘ কিংবা কঠিন হোক, বিজয় ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। বিজয় ছাড়া আমাদের কোনো পথ খোলা নেই।’



মন্তব্য চালু নেই