বিশ্বের চরম অদ্ভুত সব পুরষ্কার

সবচেয়ে ভাল অভিনয়ের জন্য পুরষ্কার আছে। সবচেয়ে খারাপ অভিনয়ের জন্যও কি আছে? সবচেয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের জন্যও কি পুরস্কৃত হওয়া যায়? অথবা কিভাবে মারা যাবেন তার জন্য? যায়। আরও অনেক অদ্ভুত বিষয়েই পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আসুন জেনে নিই এমন ৭টি অদ্ভুত পুরষ্কারের কথা।

বিগ ব্রাদার পুরষ্কার
বিখ্যাত উপন্যাস ‘Nineteen Eighty-Four’ এর বিগ ব্রাদার চরিত্র জর্জ অরওয়েল এর নামে এই পুরষ্কার। বিগ ব্রাদার পুরষ্কারটি সেই সব ব্যাক্তিকে বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় যারা এমন কিছু কাজ করে যাতে মানুষের প্রাইভেসি নষ্ট হয়! বিভিন্ন দেশে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানিতে এই পুরষ্কার দেওয়ার রীতি আছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারা মানুষের গোপনীয়তা ভঙ্গের প্রতিবাদে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।

পেগাসাস পুরষ্কার
১৯৮২ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জনপ্রিয় আমেরিকান সন্দেহবাদী জেমস রান্ডি এর প্রচলন করেন। এই পুরষ্কার দেওয়া হয় সেইসব ব্যক্তিকে যারা মনে করেন তারা প্যারানরমাল এবং সাইকিক কার্যকলাপ দেখতে পান। পুরষ্কারটি ঘোষণা দেওয়া হয় এপ্রিল ফুল দিবসে!

ডারউইন পুরষ্কার
চার্লস ডারউইন এর নামে এই পুরষ্কারের প্রচলন। এটি একটি মরণোত্তর পুরষ্কার যা দেওয়া হয় সেইসব মানুষকে যারা জীন পুলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। সহজ কথায়, এটি দেওয়া হয় সেইসব মানুষকে যারা সবচেয়ে বোকার মত মারা যান। ১৯৮০ সালে ১ দল মানুষের মাথা থেকে এই বুদ্ধি আসে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে ১৯৯৩ সালে। গবেষক এবং লেখক ওয়েন্ডি নর্থকাটের নেতৃত্বে এই ধারণাটি একটি সিনেমার বিষয়ও হয়েছিল, শিরোনাম ডারউইন পুরষ্কার, পরিচালনা করছিলেন ফিন টেইলর, ২০০৬ সালে।

ফুট ইন মাউথ পুরষ্কার
এই পুরষ্কার দেওয়া হয় এমন ব্যক্তিকে যে বছরের সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্যটি করেছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে এর প্রচলন হয়। প্লেইন ইংলিশ ক্যাম্পেইন ম্যাগাজিন থেকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়। এই পুরষ্কার প্রথম দেওয়া হয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট টিমের চেয়ারম্যান টেড ডেক্সটরকে। এছাড়া এলিসিয়া সিলভারটন, গর্ডন ব্রাউন এবং সিলভিও বারলুসকনি এই পুরষ্কার জিতেছেন। জর্জ ডব্লিউ বুশকে তার প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের জন্য আজীবন সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হয় এই পুরষ্কার।

এরনি পুরষ্কার
১৯৯৩ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এই পুরষ্কার বিতড়ন শুরু হয়। এটি এরনি একবের নামে, যিনি অস্ট্রেলিয়ান ওয়ার্কারস ইউনিয়নের ফরমার সেক্রেটারি। তিনি কুখ্যাত নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য। প্রথম পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান্টি করা হয় নিউ সাউথ ওয়েলস এর লেবার কাউন্সিল থেকে তার পদত্যাগের দিন। তারপর থেকে এটি প্রতিবছর সবচেয়ে বাজে নারীবিদ্বেষী মন্তব্যকারীকে দেওয়া হয়।

গোন্ডেন কলার পুরষ্কার
এটা একধরণের প্রতিষ্ঠানিক পুরষ্কার। দেওয়া হয় শুধু কুকুরদের। সবচেয়ে ভাল অভিনেতা কুকুরকে স্বীকৃতি দিতেই এই পুরষ্কার আয়োজন করা হয় ২০১২ সালে। আয়োজন করে ডগ নিউজ ডেইলি নামের একটি ওয়েবসাইট। পাঁচটি ভাগে প্রতি বছর দেওয়া হয় এটি। সিমন তাভাসলির নকশা করা ট্রফি দেওয়া হয় এখানে।

ব্যাড সেক্স ইন ফিকশন
ব্রিটেনের সবচেয়ে ভয়ংকর সাহিত্য পুরষ্কার এটি। এই পুরষ্কার দেওয়া হয় এমন একজন ঔপন্যাসিককে যিনি তার লেখায় সবচেয়ে বাজেভাবে যৌন সম্পর্ককে ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি দেওয়া হয় ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ‘লিটারেরি রিভিউ’ এর পক্ষ থেকে। রোডা কইনিগ একজন সাহিত্য সমালোচক ১৯৯৩ সালে এর প্রচলন করেন। পুরষ্কারটি দেওয়ার উদ্দেশ্য হল আধুনিক সাহিত্যে যৌনতাকে উপভোগের অযোগ্য হিসেবে তুলে ধরাকে অনুৎসাহিত করা।



মন্তব্য চালু নেই