বিশ্বের কুখ্যাত সাত মহিলা, এরা কতো ভয়ংকর না জানলে বুঝবেন না…

আজকের দিনে মহিলারা সকল কাজেই পারদর্শী৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই তারা এগিয়ে চলেছে নিজেদের পথে৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো তারা পুরুষদের চেয়েও এগিয়ে৷ বহু ভালো কাজে সমাজের অনেক ভালো স্থানে রয়েছেন আমাদেরক অনেক পরিচিত মানুষজন৷ কিন্তু জানলে অবাক হবেন বিখ্যাত হওয়ার পাশাপাশি বহু কুখ্যাত মহিলাই আজ পুরুষদের পেছনে ফেলে দিয়েছে নানা অসামাজিক কাজকর্মের দ্বারা৷

এমনই সাত নারীর কাহিনীই তুলে ধরা হল নিচে যারা নিজেদের অসামাজিক কাজকর্মের দ্বারা ত্রাস তৈরি করতে পেরেছে বিশ্বে৷

১৷ অ্যানা গ্রিস্টিনা: ২০০০ সালে নিউ ইয়র্কে প্রথম পুলিশের জলে আসে অ্যানা৷ জানা গিয়েছিল বিশ্ব জুড়ে চলা সেক্স ব়্যাকেটের মক্ষীরানি হল অ্যানা৷ গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি একটি অনলাইন ডেটিং সাইট চালান ৷ কিন্তু পরে আসল সত্য স্বীকার করে নেয় অ্যানা৷ তাকে ছ’মাসের জেল ও পাঁচ বছর গৃহবন্দি হয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ তবে সোনা যায় এই সময়ও নাকি তিনি কয়েক শো কোটি টাকা কামিয়েচেন৷

২৷ রাপায়েল ডি’আলতেলিও: অপরাধ জগতে দি বিগ কিটেন নামেই পরিচয় ছিল তার৷ চোর বাজারে গাড়ি বিক্রি, জাল টাকার ব্যবসাসহ একাধিক বেআইনি ব্যবসা ছিল তার৷ ২০১২ সালে রাপায়েল ডি’আলতে-লিওসহ তার দলের ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷

৩৷ জে-মকার থম-সন: জে-মকার ‘কুইন পিন’ থম-সন নামেই বেশি প্রসিদ্ধ ছিল সে৷ হেরোয়িন ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তার৷ সঙ্গে তার স্বামী৷ তবে নিয়তির বিধানে এই অসৎ পথই তার জীবন কেড়ে নিয়েছিল৷ একদিন বাড়ির সামনে গাড়ি পরিষ্কার কারার সময় আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় জামকার থমসনের৷

৪৷ রসেট্টা কুটোলো: ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করা কুটোলোর পরিচয় ছিল তিনি ছিলেন কুখ্যাত ক্রিমিনাল রাপায়েল কুটোলোর দিদি ও নুয়োভা ক্যামোরা অর্গানাইজেশনের প্রধান৷ যেহেতু তার দাদা বেশির ভাগ সময়ই জেলে থাকত তাই অপরাধ জগতের দেখাশোনার বহার ছিল বোন রসেট্টার উপরই৷ নিজেও নয় বছর জেলের ঘানি টেনেছেন রয়েট্টা৷

৫৷ মারিয়া লিওন: তেরোটা সন্তানের মা হয়েও লিওনের তত্বাবধানেই চলত একটি বৃহৎ অপরাধমূলক কাজের গ্যাঙ৷ স্মাগলিং, খুন ও পাচারসহ একাধিক অপরাধের নজির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে৷ একসময়ে লস এঞ্জেলসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাফিয়া হয়ে উঠেছিল সে৷

৬৷ থেলমা রাইট: তার স্বামী জ্যাকি রাইট ছিল ড্রাগ ব্যবসায় অন্যতম বড়ো নাম৷ ১৯৮৬ সালে খুন হয় সে৷ এরপর থেকে ব্যবসার সম্পূর্ণ দেখাশোনার দায়িত্ব পরে থেলমার উপরই৷ থেলমাই হয়ে ওঠে লস এঞ্জেল্স ও ফিলাদেলফিয়ার মধ্যে ড্রাগ ব্যবসার অন্যতম মুখ৷

৭৷ জুডি মর্ন: পারিবারিক ড্রাগ পাচারের ব্যবসায় একচ্ছত্র অধিপত্য ছিল মর্নের৷ তার নামে কাঁপত মেলবোর্নের অপরাধ জগৎ৷ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ২৬ বছরের জেল হয়েছিল তার৷



মন্তব্য চালু নেই