বিশ্বের অদেখা সুন্দরীরা

বিংশ শতাব্দীর বিতর্কিত উপহার ‘বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা’। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে বেশ কয়েক ধরনের বিতর্ক চলতি আছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো, মানুষের সৌন্দর্য্যের বাণিজ্যিকিকরণ বিষয়টি। পাশাপাশি আরও একটি বিতর্ক চালু আছে ধর্মতাত্ত্বিক জায়গা থেকে। ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ভিন্ন আলাপ হলেও বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফলে যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে তা অনস্বীকার্য। এই প্রতিযোগিতা এমন রূপ নিয়েছে যে, জাতি-সম্প্রদায়-গোত্র-গোষ্ঠি সবকিছুকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ইউরোপের দেখানো সৌন্দর্য্য জ্ঞানে জ্ঞানী হতে হচ্ছে সবাইকে। ইউরোপ যাকে সুন্দরী বলছে, বিশ্বও তাকে সুন্দরী বলতে বাধ্য হচ্ছে।
ATLAS6ইউরোপের এই সৌন্দর্য্য হেজিমনিকে টেক্কা দিতেই আলোকচিত্রী মিহাইলা নরোক তুলেছেন অদেখা সুন্দরীদের বেশকিছু আলোকচিত্র। রুমানিয়ার এই আলোকচিত্রী কয়েকবছর ধৈর্য্য ধরে ৩৭টি দেশ ঘুরে তবেই এই ছবিগুলো তুলেছেন। তার কাছে সৌন্দর্য কোনো দেশ, জাতি বা গোষ্ঠির আওতাভুক্ত নয়। তাইতো তিনি ছবি তোলার জন্য বেছে নিয়েছেন যেমন ব্যস্ত রাস্তা তেমনি নিরিবিলি পরিবেশকেও কাজে লাগিয়েছেন সৌন্দর্য্যকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। তার এই গোটা প্রকল্পটির নাম রেখেছেন তিনি ‘অ্যাটলাস বিউটি অব প্রজেক্ট’।
ATLAS10নরোক তার ওয়েবসাইটে এই প্রজেক্ট সম্পর্কে লিখতে গিয়ে জানান, ‘আমি বিশ্বের বিভিন্নতা পছন্দ করি। মানুষের যে বৈচিত্র্যতা আছে তা ধরার চেষ্টা করেছি খুব কাছ থেকে। তাদের জ্ঞান এবং পরিস্থিতিকে একটি স্থান থেকে দেখার চেষ্টা মাত্র।’ তার এই কাজের জন্য দরকার হয়েছিল বিপুল অর্থের। কিন্তু একজন আলোকচিত্রী হিসেবে তার পক্ষে ব্যয় সঙ্কুলান করা সম্ভব হয়নি বলেই তিনি সাহায্য নিয়েছিলেন ডোনেশনের। সাধারণ অনেক মানুষ তাকে এই কাজের জন্য অর্থ সহায়তা করায় শেষমেষ তিনি তৈরি করতে পেরেছেন বিশ্বের অদেখা সুন্দরীদের গল্পগুচ্ছ।
ATLAS ATLAS2 ATLAS3 ATLAS4 ATLAS7 ATLAS8 ATLAS9 I-photographed-women-from-37-countries-to-show-that-beauty-is-everywhere6__880



মন্তব্য চালু নেই