বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন: সময় বাকি আর দুই দিন

বেতন কাঠামো নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবির মেনে নিতে বেঁধে দেয়া সময়ের আর বাকি দুই দিন। একই দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট পালনের পর কর্মসূচি থেকে সরে এসে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে আবারও কর্মসূচির ‍হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন শিক্ষক নেতারা।

এখন পর্যন্ত দাবি পূরণে প্রকাশ্য কোন অগ্রগতি নেই। তাহলে কি আবারও কর্মবিরতি শুরু হবে? শিক্ষক নেতাদের আশা, এবার আর কঠোর কর্মসূচিতে যেতে হবে না তাদের। তারা জানান, তাদের দাবি নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেছে সচিব কমিটি। এরই অংশ হিসেবে গত ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও সরকারের নানামুখী তৎপরতায় সন্তুষ্ট। সন্তোষজনক সমাধানের অপেক্ষায় তারা।

শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে অর্থ বিভাগেরসিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলালউদ্দিনেরও।

সূত্র জানায়, সচিবদের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দাবি বাস্তাবায়নে এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং সমস্যার একটি সন্তোষজনক সমাধান হবে বলে উভয়পক্ষ দাবি করেছে।

জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে’। এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদউদ্দিন আহমেদও বলেন, ‘সরকার শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচকভাবেই এগুচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এটির ইতিবাচক সমাধান হবে’।

প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে তার সঙ্গে আলোচনার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন শিক্ষক নেতারা। এরমধ্যে দাবি পুরণ না হলে তাদের ফের আন্দোলনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই দাবি পুরণ হবে। এরমধ্যে যদি পূরণ না হয় তাহলে ফেডারেশনের বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে’।

শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে, মোট সচিবের মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংকে সরকার সিনিয়র সচিব করেছে। আগে সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপকরা সচিবের সমমর্যাদার ছিলেন। যেহেতু সাড়ে ১২ শতাংশ সচিব সিনিয়র সচিব হয়েছেন, তাই সমসংখ্যক অধ্যাপককে ওই মর্যাদার করতে হবে। শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে গ্রেড-১-এ (সচিবের সমান) উন্নীত করা, প্রভাষককে জাতীয় পে স্কেলের সপ্তম গ্রেডে উন্নীত করা। কারণ বর্তমানে এ পদটি নবম গ্রেডে আছে। শিক্ষকরা বক্তব্য, শিক্ষকতাকে আকর্ষণীয় করতে এটা করতে হবে। নইলে মেধাবীরা এ পেশায় আসবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমাদের দাবি যৌক্তিক। সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করছে। আশা করছি শিগগির এর সমাধান হবে।’

বর্তমানে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ১২ হাজারের কিছু বেশি। আর শিক্ষার্থী আছেন প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার।



মন্তব্য চালু নেই