বিশ্ববাণিজ্য চুক্তি ছিন্ন করব : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি ছিন্ন করবেন তিনি। একই সঙ্গে চীনের অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ ব্যবস্থা নেবেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে আয়োজিত সমাবেশে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তিনি নর্থ আমেরিকার ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (নাফটা) থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেন এবং মুদ্রাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপকারী হিসেবে চীনকে আখ্যায়িত করবেন। চীনের পণ্যসামগ্রীর ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাট দল থেকে মনোনীত প্রেসিডেন্ট হিলারি ক্লিনটনকেও আক্রমণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ করে হিলারি কিছুই আনতে পারেননি।

এর আগে ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের সমাবেশে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সেটা ছিল আমাদের দেশকে ধর্ষণ করার মতো।’

পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প বলেন, পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই পায়নি। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন অভিজাতদের সুবিধা দিয়েছে এবং তাঁর দেশের লাখ লাখ শ্রমিকের জন্য দারিদ্র্য ছাড়া কিছুই আনেনি।

মঙ্গলবার ট্রাম্প তাঁর বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে ক্ষমতা বৃদ্ধি করবেন। মেক্সিকো ও কানাডা পুনঃআলোচনায় না বসলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নাফটা থেকে বের করে নিয়ে আসবেন।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যে ভাষায় ও যে স্থানে ট্রাম্প কথা বলছেন তাতে তাঁর শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণির প্রতি সমর্থন প্রকাশ পায়। পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের মতো ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলো, যেখানে হিস্পানিক ও নারী ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে, এসব জায়গায় তাঁর প্রচারাভিযান থেকে সমর্থন কুড়াতে চেষ্টা করছেন।

যদিও ট্রাম্পের এসব বক্তব্যের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স। তারা বলছে, ট্রাম্পের নীতি অর্থনীতির ক্ষতিকর হবে। যদিও চেম্বার অব কমার্স দেশটির নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ করা বেশির ভাগ অর্থ রিপাবলিকানদের পক্ষে ব্যয় করে। টুইটারবার্তায় সংগঠনটি জানায়, সবচেয়ে ভালো অবস্থাতেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির ফলে অন্তত ৩৫ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।



মন্তব্য চালু নেই