বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের

ক্রীড়াবিশ্বে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে কদিন আগে কথা বলেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার। তার দাবি ছিল, আগামী বিশ্বকাপ গুলোতে যেন দলের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়। এতে ক্রিকেটের পরিসর আরও বাড়বে, গতি আসবে জনপ্রিয়তাতেও। কিন্তু আইসিসির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত শুনে থাকলে ভিরমিই খেতে পারেন শচীন। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পরিধি আরও কমবে। যেখানে থাকবে মাত্র ১০টি দল। অথচ চলমান বিশ্বকাপেও দল রয়েছে ১৪টি। এমন সিদ্ধান্ত নাকি প্রায় চূড়ান্ত। যা রয়েছে শুধু অনুমোদনের অপেক্ষায়।

হঠাৎ অংশগ্রহনকারী দলের সংখ্যা কমিয়ে আনার কারণ কী? আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের ভাষায়, বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যে ১০টি দল বিশ্বকাপে খেলবে, সেই দলগুলোর যেন প্রতিটিই বিশ্বকাপ জয়ের উপযোগী হয়। তারা যেন প্রতিটি প্রতিটিকে হারাতে পারে।’ উদাহরণ হিসাবে রিচার্ডসন টেনে এনেছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপ। ‘বিরানব্বই বিশ্বকাপকে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ হিসেবে ধরা যায়। সেবার অংশগ্রহণকারী নয়টি দেশ প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মুখোমুখি হয়েছিল লিগ পদ্ধতিতে। রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের শেষ পর্যায়ে এসেও বোঝা যাচ্ছিল না কোন চারটি দেশ সেমিফাইনালে খেলবে। আমরা বিশ্বকাপে ঠিক এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই সৃষ্টি করতে চাই’ বলেছেন রিচার্ডসন।

তবে আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে কড়া সমালোচনা করেছেন অনেকেই। শচীন যেমন বলেছেন, ‘নতুন চিন্তা ক্রিকেটের ছড়িয়ে পড়া ব্যাহত করবে। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো উদীয়মান ক্রিকেট-শক্তির বিকাশ ব্যাহত হবে। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী বিশ্বের অনেক দেশই খেলাটিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দল কমানোটা ঠিক হবে না। আইসিসির উচিত তথাকথিত দুর্বল দলগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করা। আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি করা।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপ ১০ দলের হলেও টি-২০ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা নাকি হবে ১৬। যা এক প্রকার চূড়ান্তই।



মন্তব্য চালু নেই