বিশ্বকাপের জার্সিতে সুন্দরবনের আবহ

সমুদ্র উপকূলবর্তী লোনা পরিবেশের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। সুন্দরবনের খ্যাতি জগৎ জুড়ে। এবার সেই সুন্দরবনকে বিশ্বমঞ্চে নতুন করে পরিচয় করাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল যে জার্সি পড়ে মাঠে নামবে সেই জার্সি তৈরী করা হয়েছে সুন্দরবনের আবহে।

জার্সি তৈরী করেছে `টেক্সওয়েব’ কোম্পানি। টাইগারদের জার্সির ডিজাইনার সেজান লিংকন। যিনি ২০১১ বিশ্বকাপের ‘জার্সি উৎসব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন।

২০১১ সালে বাংলাদেশের জার্সির থিম ছিল ‘গর্জে উঠো বাংলাদেশ’, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিল ‘আমাদের স্বাধীনতা’। এবার ডিজাইনার সেজান লিংকন পছন্দ করেছেন ‘সুন্দরবন’কে।

 

জার্সির থিম নিয়ে সেজান লিংকন বলেন, ‘বাংলাদেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। এই থিমটি নিয়ে প্রায় চার মাস ধরে কাজ করেছি। চারটি ডিজাইন তৈরী করেছি। এর মধ্যে সুন্দরবনকেই পছন্দ করেছে ক্রিকেট বোর্ড।’

মাশরাফি-মুশফিকরা যখনই মাঠে নামেন তখনই তাদের জার্সিতে থাকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিচ্ছবি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। জার্সির বাম পাশেই জায়গা করে নিয়েছেন ডোরাকাটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সঙ্গে পাওয়া যাবে সুন্দরবনের বিলুপ্তপ্রায় গাছের ছায়া।

বিশ্বকাপের প্রত্যেকটা দলের জার্সিই দুটি করে রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু রঙ আর বৈচিত্র্য দিয়ে নয়, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপের জার্সি তৈরী করা হয়েছে।

সেজান লিংকন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড থেকে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের সাম্ভাব্য আবহাওয়ার রিপোর্ট সংগ্রহ করে আমার প্রতিষ্ঠানটি। এরপর আমরা জার্সি তৈরী করা শুরু করি। আবহাওয়ার রিপোর্টের পর ল্যাবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা কাপড় নির্বাচন করি। অস্ট্রেলিয়াতে এখন গ্রীষ্মকাল। তাই এই সময়ে জার্সিতে কুলম্যাক্স কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। ম্যাচ ও অনুশীলন জার্সিতে কুলম্যাক্স কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। গতবারের মতো এবারও জার্সি স্বাচ্ছ্বন্দদায়ক হবে।’

বাংলাদেশের জার্সিকে বিশ্বমানের জার্সি হিসেবে দাবি করছেন লিংকন। বিশ্বখ্যাত নাইকি, অ্যাডিডাস ও পুমার সমমানের জার্সি তৈরী করা হয়েছে সাকিব-তামিমদের জন্যে।

বুধবার বিকেলে ক্রিকেট দলের জন্য ১৬ ধরণের জার্সি বিসিবির কাছে সরবরাহ করেছে টেক্সওয়েব। এর মধ্যে ম্যাচ জার্সি, অনুশীলন জার্সি, ট্যুর টি-শার্ট রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই