বিরল প্রজাতির ‘মেগামাউথ’ হাঙর

দানবাকৃতির বিশাল মুখওয়ালা প্রাণিটি দেখে প্রথমে ভয়ই পেয়েছিলেন জেলেরা। এর আগে কখনোই এতো বড় মুখওয়ালা কোনো প্রাণি ধরা পড়েনি তাদের জালে। দেখতে যেমন অদ্ভূত তেমনি বিশাল আকারের।

বিরল প্রজাতির এই প্রাণিটি মূলত একটি হাঙর। তবে বিরল প্রজাতির হাঙর। জাপানের ওয়াসি সমুদ্র বন্দরে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে উঠে আসে এটি। প্রায় এক টন ওজনের এই হাঙরটির দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটারের মতো। মুখের আকার বিশাল হওয়ার কারণে এদের ‘মেগামাউথ শার্ক’ (বিশাল মুখওয়ালা হাঙর) বলা হয়।

১৯৭৬ সালে প্রথম এই প্রজাতির হাঙর দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণ জাপান, তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনে দেখা যায় এই প্রাণিগুলো। পানিতে সাঁতার কাটার সময় বিশাল আকারের মুখটি খোলা রেখে চলে এই হাঙরেরা। তখন ক্রিল (এক ধরনের জলজ প্রাণি), চিংড়ি এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ এর মুখের ভেতর ঢুকে যায়।

সাধারণত পানির ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার গভীর দিয়ে চলাচল করে এরা। প্রথমবার আবিষ্কৃত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৬০ বারের মতো দেখা গেছে বিরল এই হাঙরকে। এদের নিয়ে ১৯৮৪ সালের একটি গবেষণাপত্রে প্রজাতিটিকে বুঝাতে প্রথম ‘মেগামাউথ’ (বিশাল মুখওয়ালা) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই