বিরক্তি কাটানোর উপায়

‘আই এ্যাম বোরড’, ‘ধুর কিচ্ছুই ভাল্লাগে না’— এমন কথা অহরহ আমরা অনেকেই বলে থাকি। এর অন্যতম কারণ হল বৈচিত্র্যহীন জীবন-যাপন। যার কারণে জীবনে একঘেয়েমী চলে আসে দ্রুত। মাঝে মাঝে সবকিছু অর্থহীন মনে হয়। সঙ্গে থাকে নেতিবাচক মনোভঙ্গি।

এ ধরনের বিরক্তিকর পরিস্থিতি কাটাতে আপনাকে কিছু বিষয় সাহায্য করতে পারে। এর মধ্য থেকে কয়েকটি জেনে নিন-

বিরক্তিকে পাশ না কাটিয়ে বিরক্তির বিষয়গুলো ভাবতে চেষ্টা করুন। কেন আপনার হাস্যেজ্জ্বল সময়গুলো ফিরে আসছে না ভাবুন। উত্তেজিত হবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন। দেখবেন যে বিষয় নিয়ে আপনি বিরক্ত, তার ইতিবাচক কিছু ফুটে উঠছে।

একদম উল্টোটাই করতে পারেন। নীরব থাকুন। নীরব কোনো স্থানে চলে যান। অথবা নিজের ঘরে গিয়ে নীরবতা পালন করুন। খানিকের নীরবতা আপনাকে দিতে পারে উচ্ছলতা।

এ সময় ফেসবুক, টেলিভিশন বা ইন্টারনেট থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন। সম্পূর্ণ বিপরীত কোনো কাজে মনোনিবেশ করুন। যেমন— ছবি আঁকা বা কোনো ধরনের হাতের কাজ। এ ছাড়া হালকা গানের চর্চা করতে পারেন। বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো কাজ বা খেলা বেছে নিতে পারেন। যেমন- কুইজ মেলানো, সুডোকু বা দাবা।

কাগজ-কলম নিয়ে বসে যান। আপনি কী কী কাজ করতে চান— তার তালিকা করুন। কোন কাজগুলোর গুরুত্ব বেশি, তা চিহ্নিত করুন। ১, ২, ৩— এভাবে গুরুত্বানুসারে তালিকা করুন। এবার কাজের পদ্ধতি ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে ভাবুন এবং লিখে রাখুন।

সৃজনশীল ও কর্মোদ্যমী মানুষের সঙ্গ নিন। অলস ও কাজ করতে চায় না— এমন মানুষের সঙ্গে চলাচল আপনাকে প্রভাবিত করবে। তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করুন অথবা এড়িয়ে চলুন। নিজের সৃজনশীলতার দিকে মনোযোগ দিন। দেখবেন জীবনটা কত চমৎকার।

প্রতিটি কাজের দুটি দিক আছে— প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ। যাই করুন তার মধ্যে এ দুটি বিষয়কে বুঝার চেষ্টা করুন। যেমন আপনি বিরক্তি কাটানোর জন্য বই পড়া পছন্দ করেন। আবার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পারেন। বিষয়টা হয়ত বই পড়ার মতো সহজ হবে না, কিন্তু এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি হবে।

কঠোর নিয়মানুবর্তিতা হওয়ার দরকার নেই। রুটিনে হেরফের করুন। দিনে কমপক্ষে এমন একটি কাজ করুন যা আপনার পরিকল্পনায় দিনের শুরুতে ছিল না। নিজের সৃজনশীলতা আপনাকে মুগ্ধ না করে পারবে না।

প্রতিদিন যোগাযোগ হয় এমন নয়, পুরনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সময় কাটান। এতে জীবনের ভুলে যাওয়া অনেক মুহূর্ত নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে। যা আপনাকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করবে।

পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যাওয়ার আরও উপায় আছে। মুহূর্তে তা করতে পারেন। পুরনো ডায়েরি পড়তে শুরু করুন অথবা ফটো এ্যালবাম ঘাটতে পারেন। অথবা বইপত্র বা অপ্রযোজনীয় কাগজ গুছিয়ে রাখতে পারেন। যা আপনার মনোযোগকে বিরক্তির বিষয় থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।



মন্তব্য চালু নেই