বিমানবন্দর সিকিউরিটি : চোরের মায়ের বড় গলা

পরপর কয়েকটি চুরির ঘটনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিফ সিকিউরিটি অফিসারকে তলব করেছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে উল্টো লোকজন এনে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ওই কর্মকর্তা। এসময় সেই দৃশ্য সাংবাদিকরা ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি মুছে দেয়া হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিমানবন্দর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ বলেন, শনিবার এক যাত্রীর মানিব্যাগ থেকে বিমানবন্দর সিকিউরিটিরা জোরপূর্বক টাকা বের করে নেয়। এই বিষয়টি জানার জন্য আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১২টায় চিফ সিকিউরিটি অফিসার ইফতেখার জাহানকে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি আদালতে এ নির্দেশনা অগাহ্য করে এক ঘণ্টা বিলম্বে শতাধিক সিকিউরিটি অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে আদালতের সামনে স্লোগান দেন।

এসময় তার সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা আদালতকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে স্লোগান দিতে থাকে। এই দৃশ্য উপস্থিত সাংবাদিকরা ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে বিমানবন্দর সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিকিউরিটি সুপারভাইসার বিশ্বজিৎ দাস জোরপূর্বক ক্যামেরা থেকে ছবি মুছে দেন।

ঘটনার শিকার বাংলাদেশের প্রথম সারির অনলাইন নিউজপোর্টালের একজন সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে সিকিউরিটিদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে চিফ সিকিউরিটি অফিসার আমায় বাধা দেন। এমনকি আমার ক্যামেরা থেকে তিনি জোরপূর্বক ওইসব ছবি মুছে দেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চিফ সিকিউরিটি অফিসার ইফতেখার জাহানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেন তিনি বলেন, ‘আমি এখন মিটিং এ আছি। এসব বিষয়ে পরে কথা বলবো।’ এই বলেই তিনি কলটি কেটে দেন।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরে বিমানবন্দর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তেলচুরিসহ নানা চুরির অপরাধে বিমানের বেশ কয়েকজনকে নানা মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সোমবার তারই প্রকাশ ঘটলো বলে মনে করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই