বিমানবন্দরে চুরিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললেন মন্ত্রী

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করে। এসব যাত্রীর ২৫ থেকে ৩০ হাজার পিছ ব্যাগ বহন করেন। এই বিশাল কর্মকাণ্ডের মধ্যে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা (চুরি) ঘটে থাকতে পারে, যা কাম্য নয়। তবে এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিবুর রহমান মানিকের এক প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ জাতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। বিমানবন্দরের যাত্রীদের মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মরত বিমান, পুলিশ/এপিবিএন, আনসার, সিএএবি-এর নিরাপত্তা কর্মীসহ সকল সংস্থার সমন্বয়ে নিয়মিত মাসিক সভা করা হয়। পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।’
তাহজীব আলম সিদ্দিকীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আয়-ব্যয়ের হিসাব এখনো নিরীক্ষিত হয়নি, তবে আপাতক হিসাব অনুযায়ী বিমান ২৪৫ দশমিক ১৬ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়।
নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘বর্তমানে ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু আছে। নতুন রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি পাঁচ তারকা ও একটি তিন তারকা হোটেল এবং গলফ ফোর্স ও কান্ট্রি ক্লাব নির্মণের উদ্দেশে ২০০০ সালের ৫ মার্চ আইপিসিও ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, সিঙ্গাপুর এবং সিএএবি’র মধ্যে হেডস অব অ্যাগ্রিমেন্ট (এইচওএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে হোটেল দুটির নির্মাণ কাজ আইপিসিও লিমিটেড সিঙ্গাপুর আইপিসিও রিসোর্ট লিমিটেড বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে চলমান। আশা করা যায় ২০১৬ সাল নাগাদ এ কাজ শেষ হবে।’



মন্তব্য চালু নেই