বিপিএলে আমের-আসিফদের নিয়ে আপত্তি নেই বিসিবির

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমেরের মুক্তি মিলে গেছে গত মাসেই (১ সেপ্টেম্বর)। এমনকি আইসিসি থেকে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ছাড়পত্রও মিলে গেছে তাদের। অথচ এদের মধ্যে দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমেরেকে বিপিএলের বিদেশী ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম রাখা নিয়ে বেশ জলঘোলা করা হচ্ছে। প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে বিসিবিকে।

শাস্তি পাওয়া পাকিস্তানের ক্রিকেটার আমের এবং আসিফকে আইসিসি যখন মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়েছে, তখন বিপিএলে তাদের খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

এমনকি বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পাতানোয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠা ইংলিশ অলরাউন্ডার ড্যারেন স্টিভেন্সও আছেন এই তালিকায়। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই প্রশ্ন উঠল, অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ দেয়া নিয়ে।

নিষিদ্ধ (সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞামুক্ত) ক্রিকেটারদের নাম তালিকায় রাখা নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করলো বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমের ও আসিফদের শাস্তি হয়েছে। শাস্তি কাটানোর পর আইসিসি ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই ওদের তালিকায় রাখা হয়েছে। আমের বা স্টিভেন্স, সবাই ছাড়পত্র পেয়েছে। আরেকটা ব্যাপার হলো, অভিযোগ তো থাকতেই পারে। আইপিএলেও তো ১১২জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাদের খেলা তো বন্ধ থাকেনি।’

ক্রিকেটে দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো আপোষ করে বিসিবি। বরং সময় সময় এই বিষয়টি নিয়ে স্বোচ্চারও থেকেছে। যে কারণে এক বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়নি বিপিএল। তাতে করে আইসিসির কাছে বাংলাদেশ খুব প্রশংসিত হয়েছে বলে জনান বিপিএলের গভির্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব।

ক্রিকেটে ক্রিকেটে দুর্নীতির ব্যাপারে নিজেদের আপোষহীনতার কথা আবারও জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিসিবি একমাত্র বোর্ড, যারা অভিযুক্তদের বিচার করে শাস্তি দিয়েছি। এটার স্বার্থে আমরা এক বছর টুর্নামেন্ট বাদও রেখেছি। যেন এই ব্যাপারটির একটা সুষ্ঠু মীমাংসা হয়। এ কারণে আইসিসি থেকেও আমাদের অনেক প্রশংসা করা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই