বিনিময়ে শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন যারা

রুপালি আলোয় ঝলমল করে ওঠে প্রেক্ষাগৃহ। পর্দায় কত না রংবেরঙের দৃশ্য দেখে দর্শক। তবে তার সবটাই সাজানো। কিন্তু পর্দায় যে মানুষগুলো দর্শকদের মনোরঞ্জন করে থাকেন তাদের নানারকম কাঠখড় পোড়াতে হয়। সে গল্প কজনই বা জানেন।

বলিউডের অনেক জনপ্রিয় তারকা অভিনয়শিল্পী রয়েছেন, যারা শুধু অভিনয়ের জন্য নানারকম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের একটু বেশিই ঝামেলায় পড়তে হয় বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে।

বলিউডে এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা প্রথম দিকে অভিনয় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কিন্তু কিছু পরিচালক, প্রযোজক এই সুযোগ নিয়ে তাদের বাজে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অর্থাৎ অভিনয়ের সুযোগের বিনিময়ে শয্যাসঙ্গী হওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন। অনেক অভিনেত্রী এটা মেনে নিয়েছিলেন, অনেকে নেননি। পরবর্তী সময়ে এসব তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে স্বীকারও করেছেন অনেকে। এমন অভিনেত্রীদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

কঙ্গনা রাণৌত : তানুওয়েডসমানু  চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য কঙ্গনাকে নাকি অশালীন প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রোডাকশন হাউসের কোনো প্রভাবশালী এক ব্যক্তি নাকি তাকে সরাসরি বলেছিলেন, ‘কাজ পেতে হলে কঙ্গনাকে তার শয্যাসঙ্গী হতে হবে।’ কঙ্গনা সেই প্রস্তাবে সম্মত হননি। তবে শেষ পর্যন্ত এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেত্রী। পরবর্তী সময়ে কঙ্গনা তার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনের এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান।

মমতা কুলকার্নি : বিখ্যাত পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী নাকি চায়নাগেট  চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মমতা কুলকার্নিকে নাকি যৌন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মমতা সেই প্রস্তাবে সম্মত না হলেও কিঞ্চিৎ আপস নাকি তিনি করেছিলেন বলেই গুজব শোনা নয়।

মমতা প্যাটেল : পানসিংতোমার  সিনেমায় অভিনয়ের সময় মমতাকে নাকি ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছিলেন খোদ অভিনেতা ইরফান খান। কিন্তু ইরফান খানের প্রস্তাবে তিনি নাকি সম্মতি দেননি বলেই দাবি করেন মমতা প্যাটেল।

পায়েল রোহাতগি : কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী পায়েল। তাও পরিচালক দিবাকর ব্যানার্জির বিরুদ্ধে। দিবাকর নাকি পায়েলকে‌ তার পোশাক খুলতে বলেছিলেন। ‘সাংহাই’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাসে পায়েলকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। পরে পায়েল এ কথা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন।

প্রীতি জৈন : পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন প্রীতি জৈন। পরে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কোর্টে দাঁড়িয়ে পায়েল বলেছিলেন, ‘সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ বার আমাকে ধর্ষণ করেছেন মধুর।’ যদিও পরিচালক এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই