বিধর্মীকে ধর্ষণ করা “হালাল”!

প্রতিবার যখন সে আমাকে ধর্ষণ করতে আসতো আগে নামাজ পড়ে নিত! সে বলতো আমাকে ধর্ষণ করা নাকি নামাজ পড়ার মত!
আমি তাকে বললাম, তুমি যা করছো সেটা ভুল এবং সেটা তোমাকে খোদার কাছে নিয়ে যাবে না।

সে বললো, না, এটা ইসলামে অনুমোদিত। আমাকে ধর্ষণ করলে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যাবে।

আমি তাকে বলছিলাম, দয়া করে থামো এটা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। সে বললো, ইসলাম ধর্মে বিধর্মীকে ধর্ষণ অনুমোদিত এবং এটা “হালাল”!

সম্প্রতি আইএস ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ১২ বছরের এক ইয়াজিদ কিশোরী গণমাধ্যমের কাছে ধর্ষণের এমনই নির্মমতার কথা তুলে ধরেন।

মেয়েটি জানায়, ধর্ষণের সময় সে অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিল। বলছিল তার খুব ‘কষ্ট হয়’। এমনকি এ কাজ যে পাপ তাও জানিয়েছিল আইএসের ওই ধর্ষণকারীকে। কিন্তু, তাতেও ছাড়া পায়নি সে। উল্টো তাকে রক্তাক্ত করার ভয় দেখানো হত।

মেয়েটি আরো জানায়, তাকে অপহরণের ১১ মাস পর আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় সে। এর আগে তাকে প্রতিরাতে ধর্ষণ করা হতো। নির্যাতন চালানো হত। খাটের সঙ্গে হাত, পা বেঁধে চলত ধর্ষণ।

ভয়াল সেই দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে মেয়েটি জানায়, একদিন ধর্ষণের সময় ওই জঙ্গির কাছে কান্না করে বলেছিলাম, কেন আমাকে ধর্ষণ করছ? উত্তরে বলা হয়েছিল ‘ইসলামে বিশ্বাসী নয়, এমন মেয়েদের ধর্ষণ করলে সৃষ্টিকর্তার আরো কাছে পৌঁছানো যায়।’

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত আইএস পাঁচ হাজারেরও বেশী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষকে অপহরণ করে আটক করে রেখেছে। যার মধ্যে অনেককে তারা যৌন ক্রীতদাসী হিসাবে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ২১ জন নারী আইএসের কবল থেকে পালিয়ে এসেছেন। সেই দলে ছিল ওই কিশোরী।মানবকণ্ঠ



মন্তব্য চালু নেই