বিদায় কলকাতা, ফাইনালের পথে মুস্তাফিজরা

বাংলাদেশের মানুষের কাছে ম্যাচটি নিয়ে তুমুল আগ্রহ ছিল। থাকারই কথা। একদলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অন্যদলে ক্রিকেট বিশ্বে চমক দেখানো মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু এলিমিনেটরে সাকিব-মুস্তাফিজ দ্বৈরথ আর হলো কই। কেকেআরের একাদশে সুযোগই পেলেন না সাকিব। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের সমর্থনের পাল্লা মুস্তাফিজের হায়দরাবাদের দিকেই ছিল বেশি। প্রত্যাশাও মিটিয়েছে তার দল কেকেআরকে ২২ রানে হারিয়ে।

শাহরুখ খানের দল ছিটকে গেল নবম আইপিএল থেকে। হায়দরাবাদকে ডাকছে ফাইনাল! কিন্তু তার আগে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দলটিকে আরও একটি বাধা পেরোতে হবে। যে বাধার নাম গুজরাট লায়ন্স। লিগ পর্বে দুবারের দেখায় তাদের সঙ্গে দুবারই হেরেছে হায়দরাবাদ। তাই গুজরাট ম্যাচের আগে একটু হলেও পিছিয়ে থাকছে মুস্তাফিজের দল।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় আগে ব্যাট করে কেকেআরের সামনে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল হায়দরাবাদ। টি২০ ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা ইদানিং যেভাবে মেরে খেলছেন তাতে লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। কিন্তু হায়দরাবাদের পেস বোলিং ইউনিটের সামনে সেই লক্ষ্যই অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়।

১৫ রানে রবিন উথাপ্পাকে মোজেস হেনরিকুইসের ক্যাচ বানিয়ে কেকেআর শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন ভারতের মুস্তাফিজ বলে পরিচিত বারিন্দ্রর স্রান। এরপর নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরোকে নিয়ে চালিয়ে খেলে কেকেআরকে কক্ষপথে রাখেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। ৬৩ রানে নাইট অধিনায়ক ২৮ রানে ফিরে যাওয়ার পরই ছন্দপতন ঘটে কেকেআরের। গম্ভীর তার ইনিংসটি খেলেন ২৮ বলে দুই চার, এক ছক্কায়।

ইনফর্ম ইউসুফ পাঠান ফিরে যান মাত্র ২ রান করে। লড়াই করার চেষ্টা করেছেন মনিশ পান্ডে। ২৮ বলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ রান। ১৫ বলে ২৩ রান করে ঝড়ো ইনিংসের আভাস দিয়েও পারেননি সুরাইয়া কুমার যাদব। মুস্তাফিজুর ৪ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন। এই পরিসংখ্যানে আসলে বাংলাদেশের পেস বিস্ময়ের বোলিং ব্যাখ্যা করা যাবে না। মুস্তাফিজুরের ডেথওভারে কেকেআর ব্যাটসম্যানরা ফায়দা নিতে পারেননি। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ১৭ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন মোজেস হেনরিকুইস। ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন স্রান ও বেন কাটিং।

এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে হায়দরাবাদ স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান। ৩০ বলে আট চার, এক ছক্কায় ৪৪ রান করে এতে বড় ভুমিকা রাখেন যুবরাজ সিং। হেনরিকুইস ২১ বলে ৩১, ওয়ার্নার ২৮ বলে ২৮, দীপক হুদা ১৩ বলে ২১ এবং শেষের দিকে ৬ বলে ১৪ রান করেন বিপুল শর্মা। ৩৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন কুলদীপ যাদব। মরনে মরকেল ৩১ ও জেসন হোল্ডার ৩৩ রানে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচসেরা হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন হেনরিকুইস।



মন্তব্য চালু নেই