বিদায়ী বক্তব্যেও ধোনির নাম নিলেন না শেবাগ!

২০০১ সালে ব্লুমফন্টেইনে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন। টেস্টে নিজের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩১৯ রানের ইনিংসটিও খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই, ২০০৮ সালের চেন্নাই টেস্টে।

গত ২০ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবার পর বৃহস্পতিবার, ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে যখন বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হলো বীরেন্দর শেবাগকে, তখনও ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই।

প্রায় আঠাশ মাস আগে, ২০১৩ এর মার্চে হায়দ্রাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন, শেষ ওয়ানডে খেলেছেন সেটারও দুই মাস আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে কলকাতায়। এরপর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলে শেবাগ একরকম ব্রাত্যই ছিলেন।

২০১৩ থেকে ২০১৫ এর অক্টোবর- দলে এই সময়ের মধ্যে অনেক ব্যাটসম্যান যাওয়াআসা করলেও শেবাগের ডাক পড়েনি জাতীয় দলে। অনেকেই অবশ্য তৎকালীন ভারতীয় টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে তার বিবাদকেই এর কারণ হিসেবে ধারণাটা।

সংবর্ধনা পরবর্তী শেভাগের দেয়া বক্তব্যে বুঝা গেল, ধারণাটা অনেকাংশে সঠিক ছিল। ক্যারিয়ারে যতজন অধীনে খেলেছেন, ধোনি বাদে আর সবাইকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান। আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্যাটিং ‘মায়েস্ত্রো’ শচিন টেন্ডুলকারকেও। বলেছেন, ‘আমি আমার প্রথম অধিনায়ক অজয় জাদেজাকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড় এবং অনিল কুম্বলেকেও ধন্যবাদ। এছাড়া, শচিনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

নিজের পরিবার এবং কোচদের প্রতিও কৃতজ্ঞতার কথা জানান ‘বীরু’, বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে ধন্যবাদ জানাবো আমাকে ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেবার জন্য এবং আমি যেটা চাইতাম সেটা করার স্বাধীনতা দেবার জন্য। আমার সব কোচ, বিশেষ করে এএন শর্মাকে (অমর নাথ শর্মা) ধন্যবাদ আমাকে আজকের এই ক্রিকেটার শেবাগ হিসেবে তৈরি করার জন্য।’ ফিজিও এবং ট্রেইনাররাও বাদ যাননি শেবাগের ধন্যবাদের তালিকা থেকে।

আর সবচেয়ে বড় ধন্যবাদটা তিনি দিয়েছেন নিজের ভক্তদের। তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘ভালো এবং খারাপ সময়ে আমার পাশে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’



মন্তব্য চালু নেই