সাতক্ষীরায় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের লক্ষে সেমিনারে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান

বিজ্ঞান শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

“এসো বিজ্ঞান শিখি,তথ্য প্রযুক্তির দেশ গড়ি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে-সাতক্ষীরায় মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও অগ্রগতি সংস্থা’র বাস্তবায়নে এ সেমিনারের অগ্রগতি সংস্থর নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সবুর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। এসময় তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান চর্চার ও অনশীলনের সুযোগ সৃষ্ঠির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভীতি দূর করে বিজ্ঞানে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শতাংশের হিসাবে কমছে। ঐতিহ্যগতভাবেই সারাবিশ্বে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় শিক্ষার্থীরা বেশি করে পড়ে। বিজ্ঞানে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বেশি পড়ে। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে আগ্রহ বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকও আছে। তবে বিজ্ঞানাগার নেই। বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির লক্ষে সকলকে এগিযে আসতে হবে।’ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ, সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যক্ষ আব্দুর হামিদ, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম টুকু, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের প্রোগাম অফিসার মোর্শেদ আলম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি আক্তারুজ্জামান, সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক অলিউর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, এটিএন বাংলা’র জেলা প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান, খেজুরডাঙ্গা আরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাগফুর রহমান, লাবসা ইমাদুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, মাছখোলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজান আলী প্রমুখ।

 

বেঞ্চ ক্লার্ককে সহকারী হিসেবে বদলী না করার প্রতিবাদে
বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের মানববন্ধন
শুন্য পদ পূরণ-এম, এল এস এস এর পদোন্নতি না দেওয়া, বেঞ্চ ক্লার্ককে সহকারী হিসেবে বদলী না করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার (নকল নবীশ) এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখা। আজ সোমবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা 1জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য নাজমুজ্জামান সুমন, জেসমিন নাহার, শেখ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নকল নবীশ কর্মিরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন কওে আসছে। এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে জনগণের সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের সামান্যতম নেক নজর যদি এই সংগঠনে দেয়া হয় তাহলে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ও কর্মজীবন গতিশীল হতে পারে। জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের শুন্য পদ পূরণ-এম, এল এস এস এর পদোন্নতি না দেওয়া, বেঞ্চ ক্লার্ক কে সহকারী হিসেবে বদলী না করার প্রতিবাদ জানান বক্তারা। রেজি: আইনের বহির্ভূত উক্ত বিষয়গুলি যদি প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করে তবে আগামী দিনে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সদস্য শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ সালাউদ্দীন, আমানুর রহমান লাল্টু, নাজমুজ্জামান সুমন, শিরিন আক্তার, রাবেয়া খাতুন, তহমিনা পারভিন, মিতালী খাতুন, মুর্শিদা আক্তার, প্রমুখ।

 

সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের অনুকূলে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের চেক প্রদান

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের অনুকূলে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% হিসাবের ১৮ লক্ষ বরাদ্দের চেক প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আব্দুল সাদী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপিস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর এসিল্যান্ড তৌফিকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম। সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের স্থাপর সম্পত্তি করের ১% অর্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী এর যৌথ হিসাবে জমা হয়। জমাকৃত অর্থ হতে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারদের বেতন ও ইউপি সচিবদের ইউপি অংশের বেতন ও ভাতাদি পরিশোধ করে অবশিষ্ট অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যাচিং ফান্ড হিসেবে ব্যবহার হবে। এই অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদেও জন্য বিধি ও পদ্ধতি অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। সভা শেষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের উক্ত বরাদ্ধকৃত অর্থ দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য প্রযোজ্য বিধি ও পদ্ধতি অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের হাতে জমাকৃত স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ১৮ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফ হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আশ মনোরঞ্জন কুমার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা, বাশদহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসিমুল হক খোকা, কুশখালী আবু রায়হান বিশ্বাস, আলিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ছোটন, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, ধুলিহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান খোকন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।



মন্তব্য চালু নেই